গভীর আঁধারে যখন প্রগাঢ় নিস্তব্ধতা ঘিরে থাকে;
একে একে নিভে যায় সমস্ত আলো।
যখন টান পড়ে দ্রৌপদীর শাড়ীর আচঁলে-
ভেঙ্গে যায় তিলে তিলে গড়ে তোলা বিশ্বাসের দেয়াল।
বাতাস বন্ধ হয় , রুদ্ধ হয় সকল দুয়ার।
ভীষ্মের চোখের জ্যোতি ঝাপসা হয় ক্রমে,  ক্ষয়ে যায় হাড়;
সময় থমকে দাড়ায় অচেনা গলির মুখে।
কত শত তিক্ত বাণ বিঁধে আসে বুকে     দারুণ আঘাতে;-
রচে যায় দুর্ভেদ্য ব্যথার প্রাচীর ,      সংগোপনে।
পৃথিবীর এই পথ মরুর তপ্ততা নিয়ে
মনে হয়  গিরির গভীর খাড়াই।
ফণিমনসায় খুঁজে ফেরা শীতল ছায়া।


জানি দুর্গম পথিক আমি বেদুইন যাযাবর;
স্বপ্ন চরিয়ে ফিরি পৃথিবীর পর।
এ উর্বর জমি, মাঠ, সবুজ তৃণ তোমার পতাকা তলে,-
খাঁ খাঁ করে অনাবাদী বিরান শূন্যতা নিয়ে।
হেথা আমার অসীম রিক্ততা বিদীর্ণ করে ফেরে,
জীবনের ক্ষুদ্র প্রয়োজন    অপূর্ণতায় ভর করে;
ক্লীবত্ব গ্লানি জমা হয় কোষের পরতে পরতে।
তোমার অতুল সসাগরা সাম্রাজ্য হতে শুধু পাঁচ গাঁও ;-
ভিক্ষা মেগে ফিরি।


যে দুর্যোধন বাস করে তোমার হৃদয়ে সারাক্ষণ
আমার সন্ন্যাসী মন সেই ক্ষণে কুরুক্ষেত্রের করে আয়োজন।