নীল চাঁদ না থাক আকাশের গায়, নামুক আঁধার চারদিকে;
ডিঙি নৌকায় ভেসে রব আমরা দুজন মাঝ নদীর বুকে!
তোমার নরম দেহের উপর, বুকের উপর;
শান্তি পাই যদি আমি কিছুক্ষন ; তারপর-
অজস্র জোনাকির ডাক, জলের মন্থর কলতান,
তুমি আর আমি শুনিবো অনন্তকাল!
নিশব্দ রাতের নীরবতা ঘীরে থাকুক; দুলুক ছই তরঙ্গে টলটল;
তুমি আর আমি সজোরে চেপে ধরে থাকি,   বিহবল;
নেশার মতোন বিবশ হয়ে; খুজি সেই অমৃত ফল!
তোমার নদীর গভীরে,  চর ভেঙে জোয়ারে!
নেমে নেয়ে কী স্বাদ পাই আমরা দু'জন!
নিবিড়, আরো নিবিড় হই এই অন্ধকারে;
ব্যাঙের দারুণ করুণ ডাক মিশে যাক গলুইয়ে ছলাৎ ছলাৎ!


আহা এ আঁধার!  নদীর বুক চিরে আর এক নদী!
কামনার অসীম পিপাষা নিয়ে জাগে নিরবধি!
তার নিচে আকাশের রুপালি অন্ধকারে তারারা যদি;
নেমে আসে দৃষ্টির রেখা ধরে ধরণীর পরে!
ঢেউ এর দোলায় দুলে প্রগাঢ় চুম্বনে ভরাবো তোমারে!
উষ্ণ শরীর কামনার ভারে ন্যুয়ে পড়ুক বার বার!
রাতের নির্জনতা ভেঙে ছড়াক তোমার সীতকার।


লাজুক নক্ষত্রেরা ঢাকা থাক মেঘের আঁড়ে;
দেহের ঘ্রাণ মেখে, মুখ গুজে ওই বুকের ভেতরে,-
কত জন্মের আকাঙ্ক্ষা বয়ে নিয়ে যাই ফিরে;
অজস্র নিশুতির শব্দ ভরা মায়াবি অন্ধকারে।
নিঃশ্বাস ভারি হয় তোমার চিবুক কিংবা গ্রীবায়!
আলতা রাঙানো পা,    ভিজুক ঢেউয়ের ছিটায়;
মুহুর্তের বাসনা কাটুক জন্ম জন্মান্তরের আদিম নেশায়!