কবে যে হৃদয় মরেছে আমার, জানতেই পারিনি!
প্রেমিক হৃদয় কি ভয় পায়? তবে ত সে কবি নয়!
প্রেমের দু:সাহসে যদি বাচবার দুর্বার স্বাদ না জাগে!
কিসের তবে কবি? কিসের তবে প্রেমিক?
আজ বুঝেছি জীর্ণতার পঙ্কিলে বাঁচতে গিয়ে,-
নিজেকে আমি মেরে ফেলেছি সন্তর্পণে।
অবিশ্বাসের মাঝে বাড়তে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছি বিশ্বাস!


বন্ধক দেয়া হৃদয় কোনদিন কি তুষ্ট করে প্রেয়সীরে?
হারানো হৃদয় বেঁচে    হয় কি প্রণয়?
কবে যে আমি প্রেমিক থেকে সংসারী হয়েছি;
কবে যে আমি কবি থেকে হয়েছি বৈষয়িক ;-
নিজেরই অজান্তে- জানাই হয়নি!
খুধার কষ্ট,  দারিদ্রতার অসম্মানের ভয় জাগানো প্রানে,
আর যাই হোক ভালোবাসা হয়না প্রিয়ে!
আমি ভয় পাওয়া মানুষ! ভীরু।
অন্যের দাসত্বে বেধে সুখ খুজি নিরন্তর !
বুক চিতিয়ে বাঁচার অধিকার শুন্য করে নিজেরে;
শুন্য বিছানায় নিদ্রা খুঁজে মরি আজ!
প্রিয় প্রেম নয় এ মৃত প্রেমিকের তরে,  শুধুই করুণা।


তবুও কেউ না জানুক,  এখনও পুরাতন প্রেম বাস করে,
এ ভীরু প্রেমিকের মনের গহীনে।
দিনে দিনে তোমার তরে অফুরান প্রেমের তৃষা আমার-
বেড়ে এক সমুদ্র সমান।
তোমারে ভালোবাসি, ভালোবাসি যেন এক আসমান।


এখনো কোথায় জানি শীতলতা খুজে পাই;
যখন,  এক ফাঁলি চাঁদ দেখা দেয় আকাশের গায়!
এখনও মরা নদে জোয়ার আসে বসন্তের সন্ধ্যায়-
এখনও মরুর তৃষ্ণা মেটে ভোরের কুয়াশায়!
শুধু আরো একবার তোমারে এ বুকের ভেতর ;
রাখিবার স্বাদ লয়ে -
বেঁচে আছি পৃথিবীর সবুজ তৃণের ওপর!