নীল নক্ষত্রের শরীর চুয়ে প্রেমের অগাধ নেশা,
আমারে দাহ করে,   কামনার অসীম পিয়াশা!
কী এক অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রোজ আমি দ্রোহ করি;
আপনার সাথে নিত্য অনির্বার-
বুকের ভেতর চেপে ধরি পর্বতের পাষাণ পাথর।
তোমার পূর্ণিমার চাঁদের মতো দেহ-
মনে হয় গিলে খাই রাহুর গ্রাসে!
কী ভীষণ ক্ষুধা আমার    তোমারে পাবার!
নশ্বর জীবনেরে তুষ্ট করি    প্রণয়ের অমৃত সুধায়।
জ্যোৎস্নায় জ্বালা ধরে মনের ভেতর,  কামিনীর গন্ধ নয়;-
তোমার শরীরে সঞ্চারিত কামনার ঘ্রাণ, -
আমারে বিভোর করে;
মেঘের রারি বিন্দু নেমে আসে মাটির ধরায়-
তোমার ছোবার আশায়।


সর্বদা হাটি আমি সেই এক পথে,
একই ভুল করি আমি বার বার-
তোমারে দেখি যদি আমি দৃষ্টির ভেতর!
তবু সে ভ্রান্তি ভালো, ক্ষণিক সঙ্গ মেটায় জন্মের তৃষা।


নদীর গভীরে যাবো,   যেখানে জাহ্নবী ধারা তোমার-
লাঙলের ফাল পুরুষ্ট কৃষকের মতো উর্বর জমির ভেতর ;
জন্ম দেবে সবুজ ফসলের,
শুধু তুমি আসো,     আসো আর একবার;-
আমরা রচিবো অনন্ত স্বর্গ,   অনাগত সভ্যতার।