তুমি লজ্জাবতী গাছের চেয়েও লজ্জাবতী,
ক্ষণিক ফলকে তোর মুখ আছলে ডাকো।
আমার ফলক পড়েছে তোমার নয়নে, তাতে দাগ কেটেছে অন্তরে।


হায়! তাতেই পুড়ল কপাল, কলঙ্ক লাগিলো গায়ে।
কলঙ্ক সেতো তাহার হয় -সুন্দরীতে যার নজর পড়ে।
তোলপাড় করেছে হৃদয়,
সাজিল সে ঘুঙুর পায়ে।
ঝুনঝুন শব্দে মাতাল প্রায়!
তাতেই অন্তরে ব্যথা পুড়ছে হৃদয় উড়িয়ে ধোঁয়া।
জগতের জ্বালা নিশীত রজনী, আমার নিদ্রা নিলো পাড়ি।


এপাড় ওপাড় অস্থির যন্ত্রণা বিষাদ লাগিলো দেহ।
আমার জ্যান্ত দেহে বিদায় নিলো আত্মা -
তাহার শরীরে দিচ্ছে উঁকি সইবে কি সে যন্ত্রণা।
তোমার পলকে কেমন নিস্তব্ধ আমার হৃদযন্ত্র,
নীরবতা নয় হয়তো তাহার দৃষ্টিতে বিকল হয়েছ হৃদ্‌যন্ত্র।


প্রশান্তির প্রলয় করেছো দেহে, শীতল হচ্ছে শরীর।
নীরবে দাড়ি রইলাম একা, অবলোকন তার দৃষ্টি।
তার হীম ছড়ানো চোখের দৃষ্টি যেন জমাট বাঁধা জল।
শীতল শান্ত বহমান নদীর কলকলানি জল।
তার হৃদয়ে স্রোতে বেসে যাই, তলান্নিত হচ্ছি প্রায় গভীর ভাঁটায়।
ডেকে লও আমায় তোমার তরে
বৃত্তের বিন্দুর মাঝে যন্ত্রণা আর সইবে না।