০১
শিক্ষা নিলাম বিদ্যালয়ে
বস হব সে ভাবনা নিয়ে,
এখন আমি যাই কি করে
কলম ছেরে লাংগল ধরতে?
ভুল ধারনায় পাইছে তোরে
শিক্ষা নিছ গ্যান অর্জনে,
গ্যান খাটালে কৃ্ষি কাজে
বৃ্দ্ধি পাবে ফলন তাতে।
অর্থণৈতিক মুক্তি আনতে
শহায়ক যা সবার আগে।
===================
০২
কিরে ব্যাটা ভবঘুরে
দেশের খেয়ে, দেশের পরে
দেশের সময় নষ্ট করে
ভাবিস্ কি তুই বসে বসে?
লাগ না কাজে, ভাবনা ছেরে
সোনা ফলা কর্মক্ষেত্রে
অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে।
----------------------
০৩
ভয় কিরে তোর মজুর দিতে
মুল্যায়ন তোর কমে যাবে?
তাই কিরে তুই বসে বসে
ধান্দা করিস্ কেমন করে
খাটনি বিনা পয়সা মিলে?
আঘাত হানিস জনমনে
হরন করিস সমাজ হতে
সুখ সান্তি সব কিছুকে।
ক্যান, বোকা তুই ভাবিসণেরে?
বাড়বে ফলন কর্মক্ষেত্রে
ধান্দা ছেরে মজুর দিলে
যে ফলনটি লাগবে কাজে
অরথনৈতিক মুক্তি আনতে।
===================
০৪
লাভ কি কাজে ফাঁকি দিয়ে
পারিস কি তুই বাইরে ঘুরে
দু-চার মিনিট রিল্যাক্স করতে?
দু-চার পয়সা বারতি পেতে
পারিস কি তুই বাইরে যেয়ে
অন্য কোন ধান্দা করতে?
কাজে ই যখন থাকিস লেগে
তবে কেন আনমনাতে
ফাঁকি মারিস নিজের কাজে?
যদি,কাজ না করিস সময় ব্যয়ে
কেমন করে সক্ত হবে
অর্থনীতি দেশের মাঝে?
==============
০৫
শীক্ষিত তুই, চাকুরি খুজিস প্রশাসনে
না পেলে তুই, থাকিস বসে বেকার সেজে।
এ সূযোগে
অভাব তোকে ঠেলে দেয় যে দিনে দিনে
অসত কাজে, গাজা মদের ছোবল খেতে।
পারিসণে তুই হাত লাগাতে
কুটীর শীল্পে নিপুন ভাবে?
যা হতে তুই পয়সা পাবি সংসারেতে
দশ ভাইও তোর পেট চালাবে,
তোর কাজেতে মজুর দিয়ে।
সোনা রূপে
ফলাস যদি ফলন তাতে
চলবে যে তা বিদেশেতে।
পয়সা এলে বিদেশ হতে
অর্থনীতি শক্ত হবে।
====================
০৬
দূর্ঘটোনা ঘটলে রোডে
গালি মারে সবাই মিলে
চালক ব্যাটাকে মূর্খ বলে।
নাই কি কেহ ভার্সিটিতে
আসবে যারা চালক হয়ে
লেখা পড়া করার শেষে?
নিয়ম মাফিক গারী চালাতে
দূর্ঘটনা কমিয়ে এনে
মানব সম্পদ রক্ষা করতে।
যদি প্রস্ন কর, বল কি হে
বড়, বড় ডিগ্রী নিয়ে
গাড়ী চালাব রাস্তা-ঘাটে?
বলব আমি কেন বাহে
ডিগ্রী থাকা, নাই কি তাদের অধীকারে?
ভাল-মন্দ বোঝার জন্যে
যারা, চালায় গাড়ী রাস্তা-ঘাটে।
===========================
০৭
শহর কিংবা গ্রাম-গঞ্জতে
যে জায়গাটা ভাল বেশি
সবাই সেথায় আবাস গড়ে।
সমাজ কিংবা দেশের মাঝে
যে মানুসটি ভাল বেশি
সবাই তাকে ভাল বাসে।
হাট বাজার ও শপিংমলে
যে বস্তটি ভাল বেশি
বিক্রী হয় তা অধিক দামে।
উপাদান তার মুখ্য নয়রে
তৈরি যেটা ভাল বেশি
বিক্রী হয় তা অধীক হারে।
পন্য দ্রব্য বিক্রি হলে
অধীক দামে বেশি বেশি
মূণাফা হয় অধীক হারে।
যে মুনাফায় গড়ে উঠে
শক্তিশালী অরথনীতি।
অরথনৈতীক মূক্তী আনতে
প্রত্যেককেই নিজের কাযে
হওয়া উচিত তাই মনযোগী।
=======================
০৮
লজ্জা কিরে ভীক্ষা ছেরে
বাজারেতে দোকাণ দিলে,
দোকান্দারীর চাকুরি নিতে
পা যদি তোর নাও থাকে।
লজ্জা কিরে ভীক্ষা ছেরে
কল চালাতে মেসিন ঘরে,
দেশের কাজে সময় দিতে
যদিও তুই বোবা হসরে।
লজ্জা কি তোর ভীক্ষা ছেরে
বাসন মাঝতে হোটেলেতে
চোখ যদি তোর একটি থাকে।
লাভ কিরে তোর ভীক্ষা করে
বাচ্চা একটি কোলে নিয়ে,
পারিসতো তুই সময় দিতে
চাইল্ড কেয়ারে বাচ্চা রেখে
দেশের কোন কর্মক্ষেত্রে।
যার বিনিময় দেশের মাঝে
অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে।
====================
০৯
কৃষক তুমি দূঃখ কর কেন
অফিস ছেরে ফসল ফলাও বলে?
একেই তুমি কর্ম ক্ষেত্র যেন
তাদেরই মত
যারা আছে কর্মরত অফিস আদালতে।
অফিসারগন চেয়ারে বসে মানব সেবায় রত
তমিওত ফসল ফলাও মাঠে
যে ফসলে মিটায় খুধা ভূখা আছে যত।
কৃষক তুমি দূঃখ কর কেন
অস্র ছেরে লাঙ্গল চালাও বলে?
একেই তুমি কর্মক্ষেত্র যেন
তাদেরই মত
শত্রু নিধন করছে যারা অস্র নিয়ে হাতে।
সেনারা সব অস্র হাতে দেশের সেবায় রত
তুমিওত ফসল ফলাও মাঠে
যে ফসলের পয়সা ব্যায়ে যোগায় তাদের অস্র।
কৃষক তুমি দূঃখ কর কেন
ভাষন দেয়ার পাওনা সূ্যোগ বলে?
জমিই হল কেন্দ্র বিন্দু,একেই তুমি করম ক্ষেত্র যেন
তাদেরই মত
যারা, অভাব মূক্তির অঙ্গিকারে গরম করে মঞ্চ।
কারন, তোমার চাষের ফলনই যে
অভাব মুক্তির যন্ত্র।
দেশের ক্রিষক, বন্ধু আমার, হাসো
ফলাও সোনা জমির মাঝে,
অভাব হতে দেশকে কর মুক্ত।
=======================
১০
ভোখা তুই কাঁদিস কেনে
মিটবে ক্ষুধা চোখের জলে?
কটি ধর সক্ত করে
লাঙ্গল চালা মাঠে,
ফলবে সোনা ফসল রুপে
মিটাতে তোর ক্ষিধে।
==============
চলবে