৫০
যদিও জানি
মালিক পক্ষ ও শ্রমিক শ্রেনী
একে অন্যের উপকারী।
ঝগরা  বাধে তবুও দেখি
উত্থাপনে নতুন দাবী।
করত না যে শ্রমিক শ্রেনী
দাবী তাদের অধিক ভারী ।
ঠিক থাকলে বাজার নীতি
প্রাপ্ত টাকায় আগের মত
বর্তমানে ভরলে হাড়ি ।
কিন্তু
বাজার নীতির রদ বদলে
নিত্য খরচ বেরে যায়,
শ্রমিক শ্রেনীর চাহিদা যে
আগের মতই থেকে যায়।
আগের টাকায় বারতি দামে
সমান খাবার না পাওয়াতে
পেট যে খালি থেকে যায় ।
কাজেই শ্রমীক পেটের দায়ে
দাবী দাওয়ার জাল বানায় ।
আলোচনায় মিট না হলে
কর্মস্থলে ঢিল চালায় ।
শ্রমিক শ্রেনী
লাভ কি তাতে ভাংলে মেশিন
তোমাদেরই আসবে দুর্দিন ।
মিট মাটেই আসবে সুদিন
মালিক পক্ষ করে যদি  
দাবী দাওয়ার মুল্যায়ন।
ভাবে যদি আছে প্রয়োজন ,
টিকিয়ে রাখতে অগ্রগতি
বাচাতে তার জনবল ।
======================
৫১
“ হিন্দু মুসলিম ঐক্য গড়
আমলা ধরে হজম কর
স্বদেশ প্রীতি বৃদ্ধি কর
জন্ম ভুমি রক্ষা কর । “
বৃটিশ তারাও আন্দোলনে
এমন নীতি থাকার ফলে
বাধ্য হয়ে চলে গেছে
বৃটিশ সরকার দেশটি হতে ।
অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে
ধরলে শ্লোগান তেমন করে
“মালিক শ্রমিক ঐক্য গড়
চামচা খুজে বিদায় কর,
দেশ গঠনে কাজে লাগ
ফাঁকি বাজি বন্ধ কর। “
অবশ্যই মুক্তি আসবে
যদি, ফলায় সোনা কর্মক্ষেত্রে
মালিক শ্রমিক মিলে মিশে ।
দাড়ীদ্রতা চলেই যাবে
বৃটিশ যেমন গেছে চলে ।
====================
৫২
রাষ্ট্র যখন দেয়নি তোমায়
উপার্জনের ক্ষেত্র।
সমাজ যখন দিল তোমায়
বেকার নামটি মাত্র।
তখন যে জন ডাকল তোমায়
বানিয়ে কর্ম ক্ষেত্র।
যে জন দিল কর্ম তোমায়
বেকার নামটি করে উড্র
সেত মালিক, নয়তো তোমার শ্ত্রু।
শ্ত্রুত ভাই সমাজ পতি
আসল নামটি কেটে যে জন
রাখল বেকার নামটি ।
শ্ত্রু হলে মালিক শ্রেনী
ফিরিয়ে তোমায় দিত সেকি
বেকার নহে, ম্যানেজার স্বপন
নামটি।
===============
৫২
দ্রব্য মুল্যের উর্ধ গতি
সবচে দায়ী
তৈরী করতে নতুন দাবী।
যার কারনে ভুগে বেশী
কর্মস্থলের শ্রমিক শ্রেনী।
যদিও নয় এতে দায়ী
কর্ম স্থলের বিনিয়োগকারি।
দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতি
ক্রয় ক্ষমতা কমায় বলি
পেট পোরনে শ্রমিক শ্রেনী
তৈরী করে নতুন দাবী।
মানেনা যা মালিক শ্রেনী
মুনাফা তার হয় না বলি।
উভয় মাঝে চলে তাই
উন্নয়ন নয়, মারা মারি ।
===============
৫৩
ঠিক থাকলে বাজার নীতি
করত না যে শ্রমিক শ্রেনী
দাবী দাওয়া অনেক ভারী।
মেনেও নিত নিয়োগ কারী
না বলেই,
“লাভের চেয়ে দাবীই ভারী”।
করত না যে মারা মারি
মালিক শ্রমিক উভয় শ্রেনী।
ফলত সোনা কর্ম ক্ষেত্রে
থাকার ফলে উভয়ই খুশি।
কর্মসংস্থান বাড়ত দেশে
বিনিয়োগে হওয়ায় সুখি।
==============
৫৪
শ্রমিক দলতো নয় যে দায়ী
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ গতির ।
যার করনে উত্থাপন হয়
শ্রমিক শ্রেনীর বারতি দাবীর ।
মালিকগনও নয়রে দায়ী
যেমন নয়রে শ্রমিক শ্রেনী ।
লাগাম টেনে প্রশাসনই
সর্বদায়ী করে দেখি
দ্রব্য মুল্য উর্দ্ধ গামী ।
তবুও দেশের শ্রমিক বৃন্ধ
না পুড়নে দেয়া শর্ত ।
জ্বালাও কেন কর্মক্ষেত্র
না জ্বালিয়ে প্রশাসনিক ভবন গৃহ ।
=====================
৫৫
টানছে ধরে লাগাম খানি
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ গতির
মালিক নহে, প্রশাসনই।
যার কারনে বাড়লে বাজেট
বাচিয়ে রাখতে জীবন খানি ।
বাস্তবায়নে নতুন দাবী
ধরতে হবে
মালিক নহে
প্রশাসনের গলা চাপি ।
==============