৫৭
কারিগড়
মনটি তোমার যদিও ভাঙ্গে
কঠোর বজ্রপাতে,
চামচা দলের ফাদে পরে
মালিক পক্ষ যখন বলে
ও আবার কে ? ধোর
আমি জানি
এমন কষ্টে আমিও ভোগী
হওয়ায় আমি
তোমার মত আর এক কারিগড় ।
কিন্তু বন্ধুবর
এতেই যদি বন্ধ করি
মানুষ গড়ার কর্মসূচী ।
তাহলে ভাই পাবে আর কি
উৎপাদন দেশ সোনারুপী ?
দিনে দিনে যাবে থামি
উন্নয়নেরও কর্মসূচী ।
দায়ীত্ব ভার পরবে বলি
চামচাদের উপর ।
চামচা শ্রেনীর এমনি রীতি
করে শুধু চাটুকারি ।
মনের ভিতর মালিকেরই
নিজের জন্য গড়তে বাড়ি ।
কাজ না করে , করে চুরি
মালিক পক্ষের নজর কারি ।
ধরা পরলেই পা দুখানি
মালিক পক্ষের ধরে বসি ।
বন্ধু আমার কারিগড়রা
চামচারা যে রক্ত চোষা ,
রক্ত টুকু হলে চোষা
কেটে পরে নিজেই তারা ।
মালিক পরে থাকে একা
সাথে নিয়ে , অর্থশূন্য কর্মশালা ।
বুঝইত বন্ধুবর
মালিক তখন হয়রে অধম,
কাজ না পেলে হয়রে যেমন
আমার মত কারিগড়্গন ।
অধম হলে মালিকগন
চাকুরী হারায় শ্রমিক দল
বন্ধ করায় কর্মস্থল ।
ভেবে দেখ বন্ধুগন
দেশের সকল কারিগড় ,
শ্রমিক শ্রেনীত নহে পর ।
আমাদেরই আপন জন
ভাই বোন বা বন্ধুবর ।
মালিক না হোক তাই, তাদেরই জন্যে
কারিগড়দের দায়ীত্ব যে
টিকিয়ে রাখা কর্ম স্থল ।
তাহলেই যে থাকবে টিকে
শ্রমিক শ্রেনীর উপার্জন ।
কাজেই সকল বন্ধুগন
মানুষ গড়তে লাগাও মন ।
বারাও সবে মনোবল
কাজে লাগাও দেহ বল,
খতম করতে চামচা দল ।
==================