৬৬
প্রীয়তম
আর কত
এভাবে দিন চলে ?
ছেলে মেয়ের স্কুল বন্ধ
রাখি তাদের ঘুম পাড়ীয়ে
খাবার চাবে বলে ।
দুপুরেতে জুটলেও কিছু
রাতে আবার মিছে ,
রান্না ছেরে থাকি বসে
ঘুমিয়ে পরার আশে ।
বল, এভাবে দিন ছলে ?
একা খেটে কি আর করব , বল
খাটনিওতো কম খাটিনে ।
জায়গা খুজি ছুটির পরেও
বারতি আরও খাটার জন্যে ।
প্রীয়তমা , বিশ্বাস কর
সূযোগ কোথাও পাচ্ছিনে যে ।
এ সূযোগ আর কোথায় পাবে
যে দেশেতে তালা লাগে
কথায় কথায় মিলের গেটে ।
সবই বুঝি প্রীয়তম
তবুওত বাচতে হবে
সন্তানাদি বাচাতে হবে ।
তাই বলি কি
আমিও কিছু করি ,
কোথাও কাজে লাগি ।
কিন্তু
কাজ না জানা কর্মীদের যে
কম বেতনে খাটায় সবে ।
অভীজ্ঞ নই যদিও আমি
তবুও যে আমার কাজে
আমদানী ব্যয় আসবে নামি,
গড়ি যদি দেশী পন্যও বসি ।
কর্মস্থলে কাজের চাপে
লাবন্যতা হারাবে যে।
প্রীয়তম
হারালেও লাবন্যতা
টিকবে যে মোর রসের ধারা।
যে ধারাতে সূযোগ পাবে
মনের মত সাতার কাটতে
সন্তানেরাও খেতে পাবে
বারতি কিছু পাবার ফলে ।
কাজেই তুমি শিখাও আগে
কাজ করব কেমন করে ,
আদর সোহাগ লুকিয়ে রেখে ।
বিশ্বাস আমার প্রীয়তম
উভয় মিলে লাগলে কাজে
কাটবে অভাব অল্প দিনে ।
হাসতে দেখে সন্তানেরে
যোয়ার আসবে প্রেম সাগড়ে ।
যোগল শ্রমের বিনিময়ে
ফলে যদি সোনা মাঠে ,
জড়িয়ে ধরে লুটিয়ে পরো
ফসল ভরা মাঠের মাঝে  
তোমার প্রানের প্রীয়তমাকে ।
===================
৬৭
বন্ধু আমার শ্রমিক শ্রেনী
চোরত নই, মোরা কর্মচারী।
এসো তাই শপথ করি
চুক্তি ভঙ্গ করব না
করলেও তাকে রাখবনা।
চুরি কভূ করব না
কাজে ফাকি মারব না
মারতেও কাউকে দেবনা ।
মেশিন কভূ ভাঙ্গব না
ভাঙ্গলে কেহ ছারবনা ।
ডাকলে মোদের ভন্ড নেতা
আন্দোলনে নামব না ।
চাটুকারীর ফলে কারো
যোগ্য ব্যক্তি হলে খাট
আমরা তাকেও ছারব না ।
চুক্তি ভঙ্গ করলে মালিক
মিলে মিশে করব মিটিং ,
করব নাকো  বন্ধ মেশিন
বলার আগে “ মানব না ”।
দ্রব্য মূল্য বেড়ে গেলে
নতুন দাবী আদায় করতে
মালিক শ্রমিক বসব মিলে ,
বসে কোন কাজ না হলে
বিচার দেব আদালতে
কর্মক্ষত্র পুড়ব না ।
ভেবে নেব শান্ত মনে
কোন কিছু করার আগে ,
এমন কিছু করব না যে
শ্রমিক শ্রেনীই বিপদে পরে ।
কাজ করব নিজ দায়ীত্বে
ভাল মন্দ বিচার করে ।
কোন কিছু না বুঝিলে
প্রশ্ন করব গুরুজনকে ।
শপথ সবই বৃদ্ধি করতে
মেশিন সংখ্যা দেশের মাঝে ।
যে মেশিনে বাড়িয়ে দেবে
শ্রমিক শ্রেনীর মর্যাদাকে ।
===============