সংগ্রামের লিগেসি
......................................................


প্রতিদিন পশুহয়ে বাঁচতে হয়
এ পৃথিবীতে মানুষ আর নাই
অবশিষ্ট আছে কিছু কঙ্কাল সার মানবতা
আর ধূসর নাভিশ্বাস!
পশু হয়ে বসে থাকি কারো ঘরের দুয়ারে
কিংবা প্রতিষ্ঠান ,রাষ্ট্র কোথায় নয় ?
নিরীহ শাবক হয়ে দেখে যাই
হায়েনার চকচকে দাঁত !
ভিকটিম হয়ে তৃষ্ণা মেটাই বাঘ ,শকুন ,ভ্যাম্পায়ারের বিলাসী রক্তের সাধ ;
মুখোশের আড়ালে ওরা বসে থাকে ঘাপটি মেরে
রাতের অন্ধকারে চেপে ধরে কণ্ঠাস্থি
এলিয়ে পড়ে চঞ্চল দুরন্ত প্রাণ!
তারপর পাঁজরের অস্থি,
যকৃত ,বৃক্ক ,মস্তিষ্ক রসদ যোগায় ক্ষুধাতুর পশুদের আজন্ম তৃষ্ণার!


আমাদের রক্তে হয়ে ওঠে হৃষ্টপুষ্ট,
কিংবা জোঁক বা অক্টোপাসের মত চুষে যায় উদ্দামী লহুর ফল্গুধারা।


আর বেশিদিন দেরি নেই
প্রচুর খাদ্যাভাব হচ্ছে আজকাল
টলটলে রক্তের ব্যাপক চাহিদা
নেই সরস থলথলে মাংস ,
অঙ্গগুলোর অকৃত্রিম স্বাদ !
এখন দেখি শুকুন ভ্যাম্পায়ারদের যুদ্ধ
বাঘ হায়েনাগুলো একে অন্যের মাংস খুবলে নিচ্ছে !
আমি তখনও লোলুপ
আমার ক্ষুধাতুর চোখ চিকচিক করছে
মৃত হায়েনাটার কলিজা চিবিয়ে পাই পূর্ব পুরুষের ব্যর্থতার স্বাদ ।


এই লিপ্সা পুষে রাখতে হয়,
বুকের ভেতরে দাউদাউ আগুনের মতন
কিংবা শাণিত বর্শার মত!
এ আমাদের ব্যর্থতা নয়,
সংগ্রামের লিগেসি,
যুগের পর যুগ পুষেছিল আমাদের পূর্বপুরুষ;
এখনো আমরা বয়ে চলছি, হয়তো তোমরাও বয়ে যাবে,
তাতে কি এসে যায়, এই লিগেসি নিতান্তই আমার।।