তানপুরাটায় জমছে ধূলো,
আরশোলাতে পাড়ছে ডিম,
তা দিচ্ছে ইঁদুরগুলো,
তাক ধিন তাক ধিনা ধিন।
বিছানাতে ময়লা চাদর,
বাচ্চারা সব পড়ছে পড়া,
মাস যে এখন ভরা ভাদর,
চাইবেই ওরা তালের বড়া।
লঙ্কা,শশা ছোলাভেজা,
সরষে তেলে মাখা মুড়ি,
সাথে জোড়া দোপেঁয়াজা,
জিভে জলের সুড়সুড়ি।
আলুসেদ্ধ ফ্যানভাত আর,
কাঁচা লঙ্কা চুটকি নুন,
চারুলতার ভরা সংসার,
পাড়ার লোকে গাইছে গুন ।
আমিষ শুধু রোববারেতে,
বাকি দিনে আগেরটাই,
সুখের মুখ কোন ধারেতে,
যেটা সবার চাইই চাই।
আদবানীদের ছাদনাতলায়,
নহবতের সুরে সুরে,
ভাবটা যেন গলায় গলায়,
ছড়িয়ে পড়ে কোন সুদূরে !
চৌধুরীদের ছোট্ট ছেলে,
খোঁজ নেই তার সকাল থেকে,
হারামজাদা কোথায় গেলে,
বাড়ির লোকে মরছে ডেকে !
জাল পড়ল দীঘির জলে,
মাদার গাছের ঠিক নীচেই,
ডুবল নাকি পা পিছলে!
দেখি ছেলে আমার পিছেই ।
মুচকি হেসে বলে ছেলে,
কি মজা! কত মাছ উঠছে!
দিতাম কষে ধরতে পেলে,
মুখ তো নয়; খই ফুটছে !
চাবুক হাতে দৌড়ছি পিছু,
চাবকেই আজ করব লাল,
শঙ্কা আর নেইকো কিছু,
লঙ্কাও আজ নয় যে ঝাল !
ধনী মহাজন নইকো আমি,
পাতি একটা পুরুত বামুন,
খয়রাতিটা আসে না নামি'
শাসক বলে এবার থামুন।