অনন্ত আকাশ জুড়ে শুধুই শুন্যতা ;
মুঠো মুঠো অন্ধকার তন্দ্রা ছড়ানো,
আমার হৃদয় নীলে তোমার পূর্ণতা ;
এক রাশ আবেগ দিয়ে জড়ানো ।
মহাশুন্যে ফাঁসিতে ঝুলছে ওরাই;
আকাশগঙ্গা, চাঁদ, সূর্য্য ,গ্রহ ,তারা,
দিন যায়; আসে নতুন ভোরাই ;
তবু ওরা রয়েছে আজও সর্বহারা।
যত খুশি শুন্য দিলে বামে ;
মূল্য মাণে রাশি রয় স্থির,
দশ গুণ বাড়ে তাই দক্ষিণে ;
প্রতি শুন্য রয় নাকো স্থবির।
মন এক মহাশুন্য আকাশের মত ;
ধোঁয়া বালি কালি দিয়ে ঘেরা,
চাপা দিয়ে রাখি যত ক্ষত ;
শুন্যতার মায়াজালে শুন্য নিয়ে ফেরা।
রজনী তমসা ঘন কালো অন্ধকারে ;
ছায় যবে ধরণীর প্রতি ধূলিকণা,
বনানীর নির্জনতা খগোলের উভয় পারে,
সহসা হয় উদাস; কিছুটা আনমনা।
শুন্যতায় ভরা যত মানব বিবেক ;
অন্তর্দ্বন্দ্বে অন্তর্জলী পারে নাই দিতে,
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যেন মানব একেক ;
ফলশুন্য দশা ধরে আপনার চিতে।
তোমায় যা বলা হয়নি ; বলি,
খাঁ খাঁ শুন্যতা এক অনুভব ;
প্রথা অনুযায়ী আমরা তেমনই চলি,
শুন্য নয় রাশি ; শুধুই কলরব।