তোমার শরীর পচে যাচ্ছে মা
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের দামে পাওয়া
এ দেহে আজ শুধু গদগদে ঘাঁ।
বৃথাই হলো এত আত্মত্যাগ।  
যেখানে স্পর্শ করতে যাই
দগ্ধ ঘাঁ আর পচনের দুর্গন্ধ।
একটু একটু করে ক্ষরিত রক্তে
হৃৎপিণ্ড তোমার ফ্যাকাসে প্রায়।
তোমার বক্ষ চিরে রক্ত পিপাসু
মানুষ রুপি কিছু নৃশংস দানব
খুবলে খুবলে মাংস চিরে উল্লাস করে
মাংস হননের পূর্ণ উন্মত্ততায়।
রক্ত হতে অনুচক্রিকা গুলো আলাদা করে
করছে পাচার,প্রচুর অর্থ চাই, ক্ষুধা মেটে না।
তোমার নখ গুলোও রেহাই পায়নি
ঐ দানব গুলোর সঙ্গীদের হতে।
তোমার রক্ত, কিডনি,পাকস্থলী,অস্থি,মজ্জা
রেহাই পায় না তাঁদের করাল গ্রাস হতে।
দেহের অমূল্য অংশ গুলো তাদের কাছে নগণ্য
নাম মাত্র দামে বিক্রি করে ভরে নিজের ভাণ্ডার।
তাণ্ডব চালায়, করে ক্ষমতার অপব্যবহার
ভুলে যায় তারা মা, মাটি আর মানুষ কে।
শোষণ আর নির্যাতন অবিরত
তোমার নিরীহ সন্তানের ওপর
অদৃশ্য শিকলে বন্দি রাখে সকলেরে।


মাত্র ক'দিন আগে তোমারই সাহসী সন্তানেরা
দিয়েছিল প্রাণ রাখতে তোমার মান
আনতে সবার লাগি নিরাপদ এক সূর্য ।
ত্রিশ লাখ শহিদ সন্তান তোমার
আজ হাহাকার করে নিস্তব্ধ কবরে,
হয়ত স্রষ্টা কাছে ভিক্ষা মাগে
আর একবার ফিরিয়ে দাও জীবন
আর একটি বার হাতে দাও অস্ত্র
সমূলে নির্মূল করতে আগাছা শিকড় হতে।
আহা, কাদের হাতে ছেড়ে এলাম
তোমার অসহায় সন্তানদের!
আহারে মানচিত্র হায়রে মা,
এর জন্যই কি ছিল এত আত্মত্যাগ?