মনকে যখন না পারি মানাতে ঘুরতে যাওয়া থেকে, বলি তখন চল ঘুরে আসি এবার নরক থেকে।
প্রত্যুত্তরে মন বলে উঠে স্বর্গ দেখি চল আগে।
মনের কথা মানতে হবে, ঋণ শুধাতে হবে।
নিজের বিরুদ্ধে তাই মনের কথায় চলি।
নিষিদ্ধ স্বর্গের পথে রওয়ানা হয়ে ভীত হই নিজে, সুপুরুষ আমি মনের বিরুদ্ধে ছুটে চলি নরকের দিকে।
ধর্মরাজের বাঁধায় পড়ে ভ্রমণ হয় বন্ধ, করতে চান আমার বিচার পরে হবে সব দণ্ড।
মিনতি করি যেতে চাই আমি নরকে, দেখব না আমি স্বর্গ টাকে সেখানে অনেক পথভ্রষ্ট।
আমার স্পর্ধায় যম গেলেন অতীত ভুলে, নিক্ষেপ করলেন আমার না চাওয়া সে স্বর্গে।
শুভ্র আলোয় চোখ হয়ে যায় অন্ধ, কালো শরীর আলো এসে দিয়ে হয়ে যায় পূর্ণ।
শূণ্য মস্তিষ্কে ফিরতে শুরু করে আপন মিথ্যের সব খবর, চাই না আমি ধরতে আর সবর।
থাকতে চাই না এখানে, ফিরে যেতে চাই মর্ত্যে।
নতুন করে করব শুরু নতুন এক অর্থে।
ইচ্ছা পূরণে মন বেজায় খুশি, আমার বলে কাপুরুষ কেন যেতে চাস সেখানে!
আমি তো চাই সঠিক পথে চলতে, থাকব না আমি পথভ্রষ্টদের সাথে এখানে।
আমার কথা শুনে ঢেকে ফেলে আমায় চাদরে।
অন্ধকার ছেয়ে যায় মোর পাঁজরে।
ঈশ্বরের বক্ষে লাথি মেরে ভেঙে ফেলি সে চাদর, ঘূর্ণি হয়ে গন্তব্যে ঢুকে পড়ে পেয়ে যাই নরকের আদর।
ফিরে পাই আমার আশা, আছি তো আমি সত্যের সাথে মিথ্যে গেছে স্বর্গে।
সত্য হয়ে শাস্তি পেতে চাই অসীমের সে অর্ঘ্যে!