স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষেরা  
                     এখনো থেকে গেছে অশুদ্ধ মনের ক্রীতদাস ।


লাঙলের ফলায় ধানের ইতিহাসের নিঃশব্দ যাত্রায়
তোরা শুনতে কি পাস
                     যৌবনের ডাক?


অায়,চলে অায়....


এই বাংলার মাটিতে মিশে থাকা পূর্বপুরুষের ঘাম ছুঁয়ে ছুঁয়ে
একটি পতাকার নীচেই সতেরো কোটির বক্ষ হতে জড়ো হওয়া মৃত্যুক্ষুধায়।


আমার বীরাঙ্গনা মায়ের ছেঁড়া আঁচল ঘেঁষে ঘেঁষে
মরণ ভাতের থালায় শুধু খেলা করে গেলো,
                সুশীল ভদ্রলোকেদের বিখ্যাত বিখ্যাত উপন্যাস।


রক্তের প্রাপ্যতায় হাজার পথের সীমানায়
তোরা শুনতে কি পাস
                    রাইফেলের অভিশাপ?


যুদ্ধ জয়ের দেশ হতে মুক্ত ভূ-খন্ডের প্রহরী হয়ে
নাগরিক দেয়াল ভেঙে বঙ্গপ্রেমী
আয়, চলে আয়.....
                  শিক্ষিত বেকারের দুখী বর্ণমালার ছায়ায়।
                  বস্তির দুর্গন্ধ পাশে।
                  বেনামী হাড়ের খুলিতে ।
                  ধর্ষিতার ইজ্জতের বিদগ্ধ নীলিমায়।
                  গার্মেন্টসের সস্তা শ্রমিকের বিশ্বস্ত করতলে।
                  মাঝিমাল্লার চোখের ভেতর স্রোতের মানচিত্র ছুঁয়ে ছুঁয়ে ...
                  জুতোর পালিশ ভুলে মুচির আঙ্গুলে রাখা ভাঙা কৌটায় ...
                  বেশ্যালয়ের ধারে ভদ্রলোকের বিনম্র আনাগোনায় .....
                  এক মুঠো চালের প্রতি দানায় ,
                  এক খন্ড রুটির মাঝে জীবনের পুতুলনাচের হলুদ দৃশ্যে ...

আয়, চলে আয় ....
                
এই বাংলার মাটিতে মিশে থাকা পূর্বপুরুষের ঘাম ছুঁয়ে ছুঁয়ে  
একটি পতাকার নীচেই সতেরো কোটির বক্ষ হতে জড়ো হওয়া মৃত্যুক্ষুধায় ।


আয়, চলে আয়....  


আমার ক্ষয়ে যাওয়া মনের শেষ বিন্দুতে মঞ্চায়িত  হওয়া
জন্ম নাটকের শেষ কথপকোথনে...


নিশ্চিৎ,তোরা শুনতে পাবি
         রক্তাক্ত ঘাসের বুকে
                    পঁয়তাল্লিশ বছরের বন্ধ ইতিহাস খুলে
মা-মাটির দেয়া ঐতিহাসিক জবানবন্দী!