তোমারই রক্ত করবীতে হৃদয়ের কলিজায়
আমি ও ফুটেছিলাম কমল কুসুম সুরভী ছড়ায়ে।
ভালোবাসার পঞ্চবৃন্তে আমিও হেসেছিলাম তোমার হাসিতে।
হৃদয়ের অর্ঘ্যে পূজিবো তোমারে
আমার অঞ্জলি লহো আমারই দেবতার গৃহে
হে পরম পিতা রাখ হাত আশীর্বাদের
শূণ্য হৃদয়ের হাহাকার শুনো
এ প্রাণের গভীর গোপনে।
তোমারে আজো খুঁজি অন্তরাকাশে
বেদনাভারে আজো আঁখি জল ঝরে।
শ্রাবণের এই তিরোধান দিবসে
পবন কাঁদে আজো ঝড়োবাতাসে
রবির মুখটি অন্ধকারে আজো ঢাকে
ধরনীর বক্ষ কোলে তুলে নিতে তোমায়
আজো আসন পাতে।
থমকে দাঁড়ায় স্রোতসিনী নদী
বিহঙ্গ নিরব প্রভাত কুঞ্জে।
মন্দির ধামের দক্ষিণপাশে
তোমার ই স্মরণে স্মৃতি মন্দির
আজ দাঁড়িয়ে রয়েছে অপেক্ষাতে।
নামটি তার কৃষ্ণা প্রফুল্লা কুঞ্জ
শোভিছে জ্যোতি সর্বজনের আঁখিপাতে।
সমাধি মন্দির তোমার তারই উওর পাশে
যেখানে তোমার চির নিভৃত শয়ান
বাড়ির প্রবেশ ধারে।
ক্ষমা করো অপরাধ শত-শত
নিন্দিত ধরণীর নন্দিত নরকে
ভালোবাসি ভালোবাসি শব্দে
হৃদয়ে আজো ফুল পাপড়ির বৃষ্টি ঝরে।
বিঃদ্রঃ ২০১৪ সালের ১লা আগষ্ট ১১টায় আমাদের ছেড়ে বাবা অমৃতলোকে যাত্রা করেন।