অন্তরের অতলে থাকে শেকড়ের প্রাণ
ছিন্ন পাতায় থাকে সবুজের ঘ্রান
দূর্দিন দিন কেটে গেলে বিচ্ছেদ ব্যবধান।


ভেবেছিলাম গলাবো না হৃদয়
হারাবো না একটুও কাজলকালো
চোখ সরবরের জল
সে যে অমৃত অমূল্য রতন।
বৃষ্টি মেখেছিল সেদিন বনফুলের ঘ্রাণ
আনন্দ বরিষণে নেচেছিল প্রাণ।


জলছবি এঁকেছিল বৃষ্টির ছন্দ
কাঁকন দুলেছিল আহলাদে দুদণ্ড
বিপিন  লিখেছিল বৃষ্টির কবিতা
পল্লব মেতেছিল উল্লাসে আদৃত।

শীতল মেঘের মেয়ে নীল ছবি খামে
পাঠিয়ে দেয় ত্বরা ভ্যুলোকের অসীম বক্ষ পানে
ক্ষুধিত যৌবন জোয়ার সজ্ঞানে সঙ্গমে
দুবাহু জড়ায়ে ভাসে তটে।


আঁধার কেটে গেলে মুখচ্ছবি হাসে
নীলাম্বরীর আঁচল খুলে নির্মল আকাশে
বলাকা উড়ে চলে পাখার বাতাসে
রঙধনুর সাত রং তার ডানায় ভাসে
বিহঙ্গ  ডেকে চলে গাছের ডালে।