আনন্দেরই  দোলায় দুলে
নৌকা বেয়ে আমরা কজন
জলে ডোবা শাপলা তুলে
হাসিতে খিলখিল।
বাড়ী এলে
মা বলল, ওরে আমার বুনো মেয়ে ওরে বুনোফুল
হাসি কিনতে গিয়েছিলিরে কোন কুল
নাওয়া নেই খাওয়া নেই
খেয়েছিস কি শুধু জ্যাঠাইমার টক কুল ?
কদম খুব জোরে হেসে বলল
ও কাকীমা  ও কাকীমা নয়তো টক কুল
মা রেঁধেছে  গুড়ের পায়েস খেয়েছি দুজন
আহা মন আজি আনন্দে মশগুল।


আর বুনোফুলকে মা ডেকে বলেছে
আজ খেওনা  টক কুল
খাও কত মজা করে......
খেতে গেলে আমার খুব দাঁত শিরশির করে
খ্যাপা মেয়ে হয়েছিস তুই।


সত্যি শাওলার জলজ গন্ধে
মনটা কেমন বুনো হয়ে উঠতো সেদিন
মন পড়ে থাকত কলমির ফুলে
জলে ভেজা পদ্মপাতায় ।
ফড়িং এর ডানায় মাছ রাঙায় ঠোঁটে
হিজল বনের মিষ্টি আমেজে
মনে বেজে উঠতো রাখালী বাঁশি।
শিশির ভেজা মটরশুঁটি ক্ষেতে
পা ডুবিয়ে শীতল ছোঁয়ায়
মাটির মমতায় জড়িয়ে যেতাম।


দলবেঁধে বেতফল খেতে খেতে
বকের সাথে চলত খুনসুটির ঢেউ
কখনো কখনো কাদামাটি পায়ে
ধ্যানমগ্ন বকের সংগী হতাম
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফিরে আসতাম
কদম তলার যাত্রা মঞ্চে।
পাতার বাঁশি বাজিয়ে ক্লান্ত হয়ে
মায়ের বকুনি খেয়ে বাড়ি ফিরতাম
সোনালী সেদিন মুছে গেছে
স্মৃতির পাতারা আজও ডাকে
সেথায়  কেমনে যাইরে......।