প্রীতিময় ভোরে জেগে উঠি সোহাগি সুরের  ঝর্ণায়
আত্মার বিষাদিত ঢেউগুলো নির্মল শুদ্ধতায় স্নান সেরে  পথের দিকে পা বাড়ায় ছন্দময়তায়
দীর্ঘ হয় স্নেহ চুম্বনের পথ প্রকৃতির অবারিত কমনীয়তা
ঘিরে ফেলে শরীর মন অবর্ননীয় উপভোগ কান্তি ছড়ায়।
ধ্যানমগ্ন আত্মার আরতি অঞ্জলি হয়ে সুবাসিত হয় পবিত্রতায়
মন ফুটে উঠে পুষ্পদলের ন্যায় শরতের শিউলী আবীরে
সারা শরীর সুগন্ধিময় হয়ে উঠে আর স্তবকগুলো প্রস্ফুটিত হয় শিহরিত শরীর ধীরে ধীরে সলাজ অনুভূতির আবেগ নিয়ে জল নুপুরের নিক্কণে চলতে থাকে।


অজস্র মানুষ পুলকিত প্লাবনের আতর মেখে নেয়
শরতের বৃষ্টিতে সাজানো বাগান হয়ে উঠে চন্দ্রিমা উদ্যান।
ব্যাথায় ভারী অসংখ্য কথা চেপে রাখে হৃদয়ের সুগভীর কোঠায়,অথচ আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলে পরনিন্দা পরচর্চায়।
নিজের ব্যাপারে  আমরণ অন্ধত্ব
চোখে চশমা পড়ে নেয়
নিজের দূর্বলতা,দোষ খুঁজে পায়না মনের সরলতায়
অন্যের ব্যাপারে সুচতুরতা প্রকাশ পায় বিচার সূক্ষ্মতায়।


ভালোবাসি ভালোবাসি বলবো না
যে ভালোবাসা নিশ্চয়তা দেয়না
আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন হয় নিরবে সহ্য
ক্ষমতার সহনীয়তা বাড়াতে হয়।
প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় মনের মঞ্জুষায় ম্লানতায়
আত্মতৃপ্তি হারায় মঞ্জুভাষিণী কণ্ঠ রোধ করে বাকরূদ্ধতায়।


ঘুম ঘোরে স্বপ্ন শবের চিৎকার  
কি অদ্ভুত সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা
এমন পরাজয় বরণ কান্নার অজস্র ঢেউ
সুবিশাল  সমুদ্র গড়ে আসমুদ্রহিমাচল।


এমন ওষ্ঠদ্বয় চাইনি যেখানে চুম্বনের গভীরতায় কান্নার অবিরত আওয়াজ শোনায়।
এমন দেহ চাইনি যেখানে উষর মৃত্তিকায় ভরপুর নিরন্ন হাহাকার।
এমন চোখ চাইনি যা সৌন্দর্য্য উপভোগে অক্ষম
এমন কর্ণ চাইনি যা অশ্রাব্য কথার প্রতিবাদে অযোগ্য
মানুষ হতে চেয়েছি বৃক্ষ নই ভালোবাসতে চেয়েছি ভিক্ষারী নই।
তবুও হারাতে নয় হারতে শিখি
জ্বালাতে নয় জ্বলতে শিখি
এ দেহ হবে নিঃশেষ একদিন
সেদিন পার্থক্যের পথ ঘুচে যাবে
বেদনার নীল হবে বিলীন
থাকবো না তুমি আমি চিরদিন।