ইচ্ছের জানালাগুলো খুলি অতি যতনে মিষ্টি হাওয়ায়
সুরভি সংগীতে ভালোবাসার উষ্ণ করবী ফুলে
পছন্দের অপ্রাপ্তি বন্ধ রাখি গুপ্ত সিন্দুকে তালাবন্ধ করে
দূর্বলতার দূর্বিপাকে তবু্ও বেরিয়ে পড়ে কষ্টের দীর্ঘশ্বাসে।


সরল স্বচ্ছ কাচের দরজায় আঘাত করে
অযাচিত উপলব্ধির অধরা দিনের অনাহূত আশা
হতে পারতো না যা চেয়েছিলাম  গভীর করে
মলিনতার কঠোর গলায় শাসন করেনি কেউ
অবাধ স্বাধীনতায় উড়তে পারার মধ্যে ও
সীমাবদ্ধতা থাকে শেকড়ের অজ্ঞতা অবহেলা
শিকল পড়ায় ইচ্ছের স্বপ্ন কুঁড়িকে।


বড্ড দেরী এখন  সময়ের ঘন্টা বেজে বেজে
থেমে গেছে জীবনের উচ্ছ্বাস বেলা
নদীর স্রোত চলে যেমন আবেগময় আকর্ষণে
ঝর্ণার জলতরঙ্গ কলকল রব তোলে
জীবনের যৌবনও চলে গতিময়তার হাত ধরে।


অনুভূতির অজস্র আবেগ সংসারের চাকায় ঘোরে
কল্পনা ও বাস্তবতার সেতু কখনো মজবুত কখনো নড়বড়ে,কখনো প্রহেলিকা কখনো আনন্দের সীমাহীন
উষ্ণ আবেগ।
ভীষণ মনে পড়ে অনুভব পরশ আদরের সহস্র ঝর্ণা
ভালোবাসার স্বপ্ন মোড়ানে সোনালী সময়
আত্মার উপলব্ধি গভীরতার অশেষ মুগ্ধতা
বিজয়ের চুড়াতে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ ঝলমল মুখাবয়ব।
সত্যিই বন্ধনের অদ্ভুত সমীকরণ
নির্মল অনুভূতির মুক্তদানা রঙিন প্রজাপতি
অজস্র চুমুর সবুজ শস্যদানা সোনালী ক্ষেত
অন্তরঙ্গতার অন্তহীণ উপমা।
নিবিড়তার অপূর্ব আনন্দক্ষণ অন্তরের অন্তঃস্তলের
সমুদ্রময় অনুভূতির জোয়ার ভিজিয়ে দেয় আমার হৃদয়।
ডুবে থাকি অনন্ত কাল
পেয়ে ও না পাওয়ার শোকশ্লোক
উচ্চারিত হয়না পেশীময় জিহবার দূর্বলতায়
আদৃত হই ইচ্ছের অনুরোধে
জীবনকে বাঁচিয়ে রাখি ভালোবাসাময় করে
ইচ্ছের চৌকাঠে অমৃত সুধারসে
চারিদিক কেমন শরতের আমেজ আগমনী সুর
প্রকৃতি বেসেছে ভালো এ ধরণীকে।