খেলার সামগ্রী ছিল সময়
ছিল রসময় কথার কিছু  আলাপ।
বুকের গভীরে ছিল অবনির  স্পন্দন
আবেগের উষ্ণ খেয়ায় রঙে রঙে  
ভেসে যেত দুটি মন।

সুরেলা  কন্ঠস্বরের আমন্ত্রণে
নিমগন্ রুপালী কুয়াশায়  
স্বপ্নীল আঁখির  চাহনিতে হৃদয়ে ফোটে
উড়ন্ত শতদল  
ভালোবাসার বর্ম গায়ে নাক্ষত্রিক
আত্মায় ভেসে যায় তরঙ্গের ইথার.....
তলিয়ে যায় অনন্ত অতলান্তে
শ্রাবণের রিমঝিম বর্ষায়।


এসো হে অনন্ত যৌবনা
এসো হে নিরুপমা এসো
কমল হৃদয়ে এসো এসো
এস সমর কুসুমে বিছায়ে বিছানা।
শোভিত যুগলে  কুন্তল দোলায়ে
দাও হাত বাড়িয়ে শংঙ্কা দূরে ঠেলে।


ভালোবাসা কি নামে তোমায় ডাকি?
প্রেম, মোহনী শক্তি নাকি
ক্ষুধার্ত অন্তরের এক গুচ্ছ কামাসক্তি?
নাকি হৃদয়ের দ্রাক্ষারস তুমি?
মুকুটে পড়ে নেবে কি তুমি
শ্রদ্ধার তিলকও?
নেবে কি আদর স্নেহের কোমল ছবি ও?


বাঁকা চাঁদে এখনো ফোটেনি
ঘৃণার তরবারি......
মেঘের আড়ালে  বজ্রধবনি
অধর কোনে ফোটেনি এখনো
পরিহাসের হাসি...
স্ফটিকের স্বচ্ছতায় হয়নি ম্লান
আশার কুঁড়ি রাশি রাশি।


মিথ্যার আড়ালে  লুকায় কি সত্য?
কান্নার আড়ালে লুকায় কি  হাসি?
মেঘ বালিকা যেমন হয় ভূপৃষ্ঠের পানি
কাকের বাসায় বেড়ে উঠে কোকিল।