বিষাদের ঢেউ তুলে
কষ্টের গন্ধ নিয়ে
প্রদীপটা নিভেছিল বহুদিন
চেতনার শরীর বিহীন।


সময়ের আঁচড় কেটে
গাঢ় চোখের নীচে এখন
বলিরেখার জাল অমসৃণ।

গায়ের ত্বকে অস্বাস্থ্যকর আভা
মৃত্যু গন্ধি বুকে উঠেছে জেগে
হাতে নিয়ে লাল শিখা
জ্বলবে না জ্বালাবে চিন্তার রেখা
তীরেও রয়েছে গুঞ্জন প্রভা।


চোখ ও মনের ঘরে ভেঙে পড়া
অনুতাপ ঘুমতে দেয়না
অনিরুদ্ধ দহনে ছেঁড়া ছেঁড়া
আশা ধোঁয়াটে করে ফুলেল চেতনা।

ছুটি নিতে চায় নিঃশ্বাস
চলতে চলতে ক্লান্ত
ডানা ভাঙ্গা খাঁচা।


সতেজতা চাই প্রতিদিন
শিশিরের ছোঁয়ায়
কামিনীর গন্ধে কদমের হাসিতে
ছোট্ট পাখির সুমধুর কাকলিতে।


স্বপ্নচারী আমি মাদলের
তালে নেচে উঠি
দুচোখ ভরে দেখি মোনালিসার ছবি
শুনি রবীন্দ্র সংগীত  নজরুল গীতি
আবার কখনো ভক্তিগীতি।

আকাশের উদারতা  সমুদ্রের গভীরতা
জলজ বুকে মৃত্তিকার  শস্য শ্যামল ছবি
ক্লান্ত করেনা মন বাড়ায় মনের যৌবন।


অতীতের স্মৃতি খুলে ঝর্ণার
ছন্দ শুনি কান পেতে খুঁজে বেড়াই
রোমাঞ্চকর অনুভূতির রুপালী সিঁড়ি
যেখানে দৌড়ে বেড়িয়ে ধরে আনতে
পারবে  রঙীন প্রজাপতি ।

উপেক্ষার ভালোলাগা খুঁজে ফিরি
বাতিল ক্যালেন্ডারের পাতায়
আরো গহনে এগিয়ে যাই
ক্যামেরার ফিল্ম টেনে
লেখা খাতায় খুঁজে পাই
ভালোলাগার কিছু বর্ণমালা ।
দোয়েলের শিষ দেয় মনে হয় দূরের
সাইরেন আরো দূরে নিয়ে যায় ।

স্মৃতির ক্ষয় যেখান থেকে শুরু
অজানার শূন্যতা দৃষ্টিকে উপরে তুলে
মনে হয় শেষ গন্তব্য লিখে রাখে
গগনের স্মৃতি ঘরে সুনীল ডানায়
এখানেই গন্তব্য শেষ।