পাঁচে হারিয়েছি যখন বুঝিনি তখন
দুনিয়াটা কত ঘোর
কেঁদেছি কত ফিরে পেতে
পারিনি যেতে পরেছি হেথায়
রুদ্ধ শৃঙ্খল।
আমারও ছিল মন
আমিও মানুষ ছিলনা তখন
বাস্তব হুঁশ।
নরম কাদামাটির মতো মন
বিপাকে পরে শক্ত বুনন
ক্ষণে ক্ষণে বুঝেছি কত অসহায়
পরিবার পরিজন বিহীন যখন।
বিশ বছরের বন্দী জীবন
মুক্তির পাইনি স্বাদ কখনো
ঝর্ণা নামের অর্থ এখন
দেয় বড্ড পীড়ন।
মুক্ত বিহঙ্গ উড়ে যখন
চেয়ে দেখি অনিন্দ্য সুন্দর
ফিরে যেতে যেতে
প্রশ্নের ভীড়ে তাড়া করে বেড়ায় এখন।
মা কেন দিতো এত বকুনি
বাবার আদর ভুলিনি আমি ভুলিনি
শাসন কেন শুধু আমার তরে
হাসান হোসেনের কেন কদর বাড়ে?
বস্তিতে ছিল খালা করতো আদর
মা বকতো আমায় করতো নিগ্রহ
ভালো লাগতোনা এত বকুনি
মাকে দিতে শাস্তি নিজেকে হারাই
হারিয়ে ফেলি।
রেশমা যে পালিয়েছিল বলিনি
সেকথা
কোহিনূর করতো
চাকরি ভুলিনি সে কথা।
চিনতে মা আমাকে বলেছে
মাথায় তোর একটা দেখ
কাটা দাগ আছে।
মিলেছে প্রমান সবই এখন।
পেয়েছি ফিরে আমার স্বজন
তবু চাইনা যেতে পুরাতন ভূবন
হোমের জীবন দিয়েছে নতুন মন
লেখাপড়া করে গড়বো আলোকিত ভূবন।
মাঝে মাঝে ফিরে যাবো
শিকড়ের কাছে
ওখানে আমার অনেক ঋণ আছে।
যাকে খুব ভালোবাসি সেথা
মোর বাবা আছে।