সুখের আগুনে পুড়ি শরতের বৃষ্টিতে
কাশফুল পদ্মবিল ভোলায় আমায়
সুখের ঝর্নায়,  উষ্ণ আদরে গভীর চুম্বনে
নাকচাবি খুঁজে বেড়াই বালুময় তটে
মুক্তদানা জন্মে  ঝিনুকের পেটে।
জলধি  করে প্রেম ইন্দুর সাথে
দেখনা ঐ আলো আঁধারিতে।


এক সুরভীত সকাল হয় আপন খেয়ালে
দিয়েছিলাম উপহার প্রিয়তম তোমাকে
মনে কি পড়ে।
আজ সেই মহেন্দ্র ক্ষণ এসেছে জান
সোনাঝরা মৃদু হাসি লেগেছিল  উভয়ের
দু ঠোঁটে, মন নেচেছিল পেখম তুলে
ঘন লতিকার ঝাড়ের মত নড়েছিল দুহাত
মৃদু বায়ু পরশে।


চোখে ছিল স্থির পদ্মপাতায়
শিশিরের ছোঁয়াতে।
ফিরে আসবে না আর সেক্ষণ
তবু্ও প্রতিটা প্রাতঃ হারাতে চায়
মৃগতৃষার কাছে।
স্পর্ধিত  আবেগ বারবার ছুঁতে চায়
আমায়, আমিও উড়ে চলি কার্পাস তুলোর মতো
দূর গগনের মেঘে মেঘে।
বোঁটা থেকে যা খসে পড়ে
যায় লাগানো কি খুশির আবেগে?
দিনশেষ হলে আবার কানে আসে
ঝরা পাতার গান, নিস্তব্ধ চৌদিক
চৌদিকে ভেসে উঠে শুন্য মরুদ্যান।