আঁধারের শাশ্বত তরঙ্গ পেরিয়ে  
যে কাজল চোখ চেয়েছে তোমার অদেখা স্বত্বা দেখতে
সেথা ছিল মনোহর আবেগ নিটোল কমল
ভুলানো সে রূপ সৃষ্টি যেন আপন হাতে ঢালিয়াছে কান্তি দুহাতে শ্রাবন ধারায় বরষা অনুরাগে ধরণীর ব্ক্ষ ভরে অমৃত সুধা রসে।


খুঁজে খুঁজে অনুভূতির নিমগ্নতায় ছুঁয়েছিল তোমারই ঢেউময় সহস্র ইচ্ছার খেয়াল মুক্তরণে বেঁধেছিলে বাঁধন  যাপন নিশি বেলায়।
দূরন্ত বেলা শেষে কপোত কপোতী  ফেরে নীড়ে
ঝাউময় শরীরে কত ঢেউ নিশিদিন ধূলা মাখে।


ইচ্ছার মৃত্যু রচে খেয়ালীর খেয়ালে
সহস্র যোজন দূরে নক্ষত্রের বিসর্জন
শতাব্দীর  নির্মেক তরঙ্গে  মহাশশ্মানের প্রয়াণে
ঢেউয়ের ও অবসাদ মেলে বেভুল মন্থনের ভাটার যাত্রায়।
অথচ একই দিগন্তের তলে নিশি কাটে একই নক্ষত্রের
নীচে যাপন চলে তোমার আমার এমনই হয়
যে খেলা জমে ধরণীর ধূলায় তারও সমাপ্তি রেখা আঁকে
যেতে হয়, মরে যায় ইতিহাস বেঁচে রয়।


সব ফুল শুকায় পাখি ও মরে যায় আলোড়ন থামে
ঘাসের সবুজ রঙ আমৃত্যু লিখে রাখে
ভালোবাসার কথা সব, ধূলির কাগজে গড়া আঁচল খানি
চির মমতায় জড়িয়ে ধরে।
আমৃত্যু উম গুলো জড়ো হয় শবে এরপর চির শয়ানে
মৃত্তিকার গুপ্তঘরে আঁধারের শয্যায়
নিঃশব্দ বাতাস মেশে বাতাসের আড়ালে
বাতাসের ঘরে পরতে পরতে।