পৃথিবীর বাহুতে স্পর্শের মায়াজাল
কুয়াশার শরীর চোখের দৃষ্টিকে করে আড়াল
ধবধবে প্রাচীর ।
স্পর্শের আড়মোড়া ভাঙ্গে না তখন
বায়ুর ঝুল বারান্দায় সমুদ্রের পথ
বিহঙ্গের কূজন স্রোতের বেগে ভাসে
দীপ থেকে দীপালি অন্ধের অনন্ত গলি।
দিবাকর সহাস্যে ছোঁয় কুন্তল বেনী
ছাড়া ছাড়া অদৃশ্য মায়ার শরীর
নিঝুম নির্মল মুগ্ধ আঁখি।
আকন্ঠ মুগ্ধতায় ডুবেছে যে মন
তারও ভরাডুবি লিখে রাখে
দেবতার হাত চরণে যদিও দেয় পুষ্পাঞ্জলি।
যে বৃক্ষে ফোটে ফুল আসে কলি
তার ও জীর্ণ বেশ শুকায় শরীর।
নির্ভেজাল প্রেম নির্ভেজাল মন
দুই দুষ্প্রাপ্য ভূখন্ডের মানব শরীর।
আছে বিরহ অভিমান বিষন্নের ঝুড়ি তিন
আছে দুঃখ সুখের ঘর কাচা পাকা সবাকার তৈরি।
অতিমারি অনাহার রোগ ব্যাধি
রোদ বৃষ্টি শীত গরম সারি সারি
আপন দেহ তারও রকমারি।
শুন্যের চাবি নিয়ে হাতে
রোজ রোজ দামী তালা খুলি
শুধুই আপন খেয়ালে আত্মহারা
পাগলামি।