কতনা যতন কতনা সোহাগ
দিবস রজনী ভোর
আদরে আদরে উঠেছে বেড়ে
জবা গাছটি মোর ।
সবুজ পাতা ছোট্ট যখন
খুশি আমার মন
সময় পেলে দেখি তারে
জুড়ায় দুই নয়ন।
পবন চুমু দেয় কপালে
কেঁপে কেঁপে উঠে
খুশি মনে বলে কথা
আধো লাজে হাসে।
চড়ুই এসে পাখনা উড়ায়
লেজ নাড়ায় কাছে
হাসি হাসি হলুদ ঠোঁটে
একটু ছুঁয়ে দেখে।
গাছের শাখায় বসে কাক
আধো আধো ডাকে
লাল টুকটুক ফুল দেখে
শান্ত নীরব থাকে।
রাঙা ঠোঁটে জবা তখন
কেঁদে কেঁদে কয়
তোমার ভার বহন করা
আমার কাম্য নয়।
আসবে তুমি ব্যাথা দিতে
জাগে প্রাণে ভয়
যদি আস থেকো দূরে
একটু দূরে মহাশয়।
ঠিক আছে যাচ্ছি আমি
যদি আবার আসি
রাগ করোনা দুঃখ দেখিওনা
শান্ত থেকো সুশ্রী।
শান্ত জবা স্বস্তি পেয়ে
আলোর পানে চায়
আকুল নয়ন ব্যাকুল হৃদয়ে
ভাষা নেই ভাবনায়।
ক্ষুধায় তৃষ্ণায় জ্বলছে শরীর
নীরস ঠোঁট তার
টাপুর টুপুর বরষা এসে
জুড়ায় তৃষিত অন্তর।
মনের মকুর খুশির সুরে
ঢেউয়ের দোলায় দোলে
রাঙা মুখে সবুজ পাতা
নাচে পেখম তুলে।
ডেকে বলে টুনটুনি ভাই
কোথা যাও তুমি
কেমন করে ভুলে গেলে
কেন বল তুমি।
আস বলি কিছু কথা
কোথায় থাক তুমি
লাজে রাঙা কুসুম কলি
যাবে চলে এক্ষুণি।
কেন জবা এমন কথা
কেন বল শুনি
দেবতার চরণে কুসুম আজ
দেবে পুষ্পাঞ্জলি।
৪+৪+৪+২ ( স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত )