ফাগুনের আগুন ঝরে
রূপের ঐ ঝর্ণাতলে
গুন গুন গুঞ্জনে ভ্রমর
ছোটে ঐ ফুলের  বনে।
অভিমানী মুকুল ঝরে
অনাদরে অবহেলায়
আলগোছে।


পলাশ ফোটে ফোটে ঐ
কৃষ্ণচুড়া ডালে ডালে
প্রণয় রাগে একই সুরে
সুর যে মিলায় হাসির ঠোঁটে।


হিমেল হাওয়া যায় যে চলে
অন্য কোথাও অন্য কোন দেশে
মন পড়ে রয় বিলের ঘাসে
ধুলোমাখা পথের ধারে।

কাশের বনে বালুর ডিপি
দাগ রেখে যায় গভীর গহীন
নীরব  মনের মঞ্জুষাতে।
জীবন যখন শুকায়ে যায়
স্রোত হীন আশা হয়
ঝড়ে বেগে হয়না  কথা
আক্ষেপ ভেঙে আঘাত হয়।


মনের ঐ মধুর স্বপন
আদরের খুনসুটি
কোথায় যে  হারায়
রঙিন প্রজাতির  ডানায়
জানিনাতো জানিনাতো
সংশয়ের আকাশছোঁয়া
অতল দ্বারে খুঁজে তারে
ধরতে নারে পারা যায়।


এক জীবনে ছয়ঋতুর ছাপ
উঠানামায় উষ্ণ ওম পথে
পথ যে  মিলায় ।
ভেঙে খেলা  শুরুর বেলা
নিয়ম মেনে নিত্যচলা
চলতে চলতে বাঁক ঘুরে যায়
আসে নুতন খেলার ভেলা ।
খেলা ভাঙার ছলে এমন
জীবন সিন্ধু পার হয়ে যায়
এই দেহতরীর মেলা।