তোমার অধীনস্থ দিনগুলো আমাকে আরও
বিলাসী অনুভবে নিমগ্ন করে
আশ্রয়ের নৈকট্যে উজ্জ্বল করে তোলে
স্বপ্নময় রৌদ্রের আলোক ঝরণায়।
সাজানো ফুলদানির ফুলের মত
সুবাস ছড়ায় অনন্য আতিথিয়েতায়
তারপর এক টুকরো স্বর্গীয় উদ্যানে
পরিণত করে ঘরময় ।
নিয়ন বাতির গোলকধাঁধায়
মৃদু পবনে ঝুলতে থাকে
বটের ঝুরির সুখের শেকড়।
কান পেতে শুনতে পাই প্রাণের স্পন্দন
নাসিকার অগ্রভাগের অনুভব দোলায় শিউলি ফুলের
মিষ্টি সৌরভ মনকে পবিত্র করে তোলে।
অবিস্মরনীয় ভালোলাগার প্রতিটি মুহুর্ত
গোলাপের পাপড়ির মতো আভা ছড়িয়ে
যুগলবন্দি করে মনের আড়ষ্ট ক্যামেরার ফিল্ম।
ভালোবাসি ভালোবাসি শব্দে
আলোড়ন তোলে প্রীতিভরা ঠোঁট
বাহুদ্বয় নৈঃশব্দে সায় দেয় শক্তির
দীপ্তিময়তায় ।
কোমল চরণের আঙ্গুলের ডগায় তাল
উঠে নুপুরের অলৌকিক শব্দে
সবুজ ঘাসের লকলকে জিহ্বার নরম শিহরণ
জাগে বিছানো কার্পেটে।
নিঃশ্বাস পড়ে মনের বাতায়নে
টুকরো টুকরো না পাওয়ার আবেগ
নিত্য শিশির মাখে নুতন কবিতার জোড়ানো
শব্দগুচ্ছে।
নিলাজ হৃদয় চুমুর ঢেউ ঢেকে রাখে
তুলির আলপথের রঙে
কাঁদা খোঁচা পাখি খুঁচে বের করে
মৃত্তিকার জলজ আবরণ।
সব অভিমান তৃষার্ত মন খুঁজে নেয়
ভালোবাসার খড়িমাটি লিখে রাখে
সুখের দিনপঞ্জির পৃষ্ঠা
আর বর্মে ঢাকা থাকে বেদনার
উপসর্গ।
দখিনা হাওয়া খুলে দেয় বাগিচার
পৌষালি কষ্ট দারিদ্র্যের জীর্ণ আবরণ।
বসন্তের হাতছানি শিমূল ফুলের
ঘড়ির কাঁটায় ঘণ্টা বাজায়
এসো এসো পলাশের রঙে বৈরাগ্যের
একতারা বাজিয়ে এসো ।
মনকে ছেড়ে দাও সতেজ হাওয়ায়
একগুচ্ছ শুভ্র গোলাপ তুলে আনো
শূন্যের ভিতর।
কষ্টগুলো কায়া ছেড়ে বেরিয়ে এসে বলবে
আমাকে যেতে দাও
শূন্যতায় আমার দম বন্ধ চাপা স্বর
মাটিতে আমার প্রিয় ঘর প্রিয় আলো
বাতাস ওখানে আমি শুদ্ধ শতদল।