বলেছিলে পড়িয়ে দেবে নক্ষত্রের মনিহার
কথার যাদুতে নরম বিশ্বাস গুলো বারি হয়ে  
ভিজিয়ে ছিল হৃদয়
কমল অন্তরে গেঁথে ছিল শিকড়
আর মস্তিষ্কের করোটিতে গজিয়েছিল বৃক্ষ
শিরা উপশিরায় মেলেছিল শাখা।


মুহূর্তের আড়াল অনুভবে
তোমার  ছায়া পড়ে যখন আমার স্বত্তায়
আমার করতল জানায় তোমার অনুভব
আমার শস্যক্ষেতে জন্ম নেয় অপূর্ব শস্য-মঞ্জুরি
প্রভাময় সময় খুঁজে পায় অমরার অতীন্দ্রিয় সুখ
মৃত্তিকা ফিরে পায় উর্বরতার কনক ভূষণ।


নদীর তরঙ্গ অনুভব করে গভীরতার পরিমাপ
বৈচিত্র্যময় দিন রঙিন প্রচ্ছদ আঁকে
যাপিত জীবন এক পেয়ালা শরাবে ডুবে
মৌ ঘুমে কাটে সহস্র নিশিদিন।



মদির গন্ধে অন্ধ আঁখি
খুলবে কি গো সমাধি শেষে
ফিরে আসবো কি আবার যুগল রূপে
মধুর মিলন মনোহর ক্ষণ
আঁকবো কি আবার যুগল বক্ষে।