অন্তহীন এক যুদ্ধে
পূর্ববোধগুলো আশ্রয় নিয়েছে
অগাধ ক্ষমতার নিসঃঙ্গতায়।


অনিশ্চয়তায় দুষ্টচক্র ত্যক্তবিরক্ত করছে  
অপ্রতিরোধ্য আবেগে।
গভীর আনুগত্যে বিষাদ করুণ গাম্ভীর্যের এক
জলন্ত মশাল হাতে নিয়ে পেন্ডুলামের বশ্যতায়
নির্জীব বিকেল গুলোকে রেখে দেই
গভীর আর্তনাদের গাঢ় ওমে।


উদার দমিত কোমলতায়
কি করে ভালো থাকি
ভাষা নেই ব্যাথা আছে
সৌরভ নেই  ফুল আছে
আর প্রেম ভালোবাসা জাদুঘরে্‌
বন্দী হয়ে পড়ে আছে।

ভীতসন্ত্রস্ত  ফুলকুঁড়ি লুকিয়ে থাকে
পাতার আড়ালে
বৃষ্টির আদর মাখা চুম্বনগুলো
জমা  রাখে রোজ
অথচ কি বিষন্নতার প্রণয়
ঠোঁটে মুখে চিবুকের নীচে
আহ্লাদিত হাত সরিয়ে রাখে
গভীর অনুরক্তির আঁচে।


ধুলার প্রণয় জমে
মাটির বুনো স্বাদে
নির্মল হাওয়া কত দিন যে
গায়ে জড়িয়ে যৌবনের
তেজ পরখ করেনি
নোনাধরা দেহের কাছে
পৃথিবী তার হিসাব করেনি
সরল অঙ্কে।


ধরণীর রুদ্ররোষ আর
অশান্তি ভরা ললাট লিখনে
ঘুরে বেড়াচ্ছে দূষণের অহমিকায়
একরাশ অবজ্ঞার হাসি হেসে।

পা দুটো চাকাহীন হয়ে আছে
ভীরুতার অভিশাপ লাঞ্ছনায়
জীবিত অবস্থায় পচে আছি
বাঁচার আদিম ক্ষুধা নিয়ে।
পুরানো স্মৃতিগুলোর পৃষ্ঠা
উল্টাতে উল্টাতে উষ্ণতা
হরিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসা স্তরের।


রক্তখোকো শ্বাস হরণকারী
আবেগ  ধ্বংসের বাহক
মহামারীর নীল ছোবলে
ধরণীর ভারসাম্যের চিত্র
আর কত প্রাণ ঝরলে
ফিরে  আসবে জানিনা জানার
ইচ্ছেগুলো বন্দী হয়ে যাচ্ছে
মৃত্যুর নীল হিমাদ্রির কাছে।