গভীর নিশীথে অন্ধ আঁধার
ভালোবাসার ফুল ফোটায়
মায়াবী আকাশের তারা ঈর্ষায় জোৎস্নাকে খুঁজে না পায়
সবাইতো ভালোবাসে জ্যোৎস্নার আলো
আকাশের ও অভিমান মুখ যে কালো।


শরৎ জ্যোৎস্নাকে অজান্তে  ভালোবেসেছিলাম
আদর ছায়ায় হৃদয়ের পলিতে স্বপন বুনেছিলাম হৃদয়ের দূকুলে ফুটেছিল ফুল  আরাধনায়
সজল আঁখি ধারে ঘন পল্লব নুয়েছিল কাজল ছায়ায়।
অধরের গোলাপী পাপড়ি দিশেহারা ছিলো চঞ্চলতায়
রূপের মধুরিমায় অন্তরে বৃষ্টি হয়েছিল ফুলের ধারায়।


সেদিন যেন হৃদয়টা হয়েছিল রাই
কোন বাঁধা বাঁধা নয় বাঁশিতো বেজেছিল
পবনের ছন্দে ছন্দে মধুর সুরের ধারায়।
কত পথ পেরিয়ে খুঁজেছি আঁখিতে
কোথায় কোথায় মন যে তাকে খুঁজে বেড়ায়।
ভালোবাসা কি তার নাম, নাকি অন্ধ আবেগ, নিন্দা অপবাদ।


যুগে যুগে কত প্রেম অপবাদে ডুবে যায়
কত প্রেম জ্বলে জ্বলে চিতায় অঙ্গার হয়
কত প্রেম প্রেম নয় দেহজ খেলায় জীবন ফুরায়
কত প্রেম ফুল হয়ে হাসি কান্নায় মায়ার সংসার।


ভালোবাসা যদি হয়  স্বর্গীয় প্রেম
তবে কেন কলঙ্ক  রচে অভাজন
এ ধরণীর কোলে  লুকিয়ে রাখে
সকল ধারার প্রেম, সুন্দর অসুন্দর।


প্রেম সুন্দর শাশ্বত
বনলক্ষ্মীর বনলতা, শীতের সূর্য
মাটির শস্য, গরমের বর্ষা, দুঃখীর হাসি
সকল প্রেমের অন্ধ দেবতা।