বসন্তের আখিঁতে এঁকেছে  কে বিষাদের কাজল
কান্নায়  প্রহর ভারী, অম্বরে মেঘের ঘন ঘোর।
নুতন প্রভাতেে কে ছিঁড়ে চলে যায় মায়ার সকল বাঁধন
ও যে অবুঝ  কাচা মন ও যে তরুণ  
বুকের পাঁজর ভেঙে দিয়ে যায় কোন ভূবন
বেদনায় ভারী ব্যাথা ভরা মন এ লগন।


খুলে পড়ে যায়  হৃদয়ের আভরণ
থমকে যায়  হৃদয় স্পন্দন।
আঁধারের জ্যোতি দুহাত  বাড়ায়
কপোলে বহে  উষ্ণ  নদীর প্রবাহ ধারায় ।
চৌদিকে উঠে  কান্নার মুহুর্মুহু রোল
হৃদয়াকাশে বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে নেয়
মমতার বাঁধন।


নির্দয় নিষ্ঠুর খেলার ভেলায় তব স্থির কেন চোখ
পৃথিবী থমকে যায় থমকে যায়  ভাষা বিস্ময় হতবাক!
কত আশা বেঁধেছিল ছোট একটি প্রাণ
বেঁধেছিল ভালোবাসা স্বপ্ন আশা মায়াবী মন।
যেখানে ছিলো হাসি ছিলো গান  প্রাণে প্রাণের  পরশ  ছিল মধুর মিলন ছিলনা কোন  সংশয় আশাহত ছিলনা মন।
যেখানে কথাগুলো সুর হতো গানের সুরে
হাসিতেও ঝর্ণা লুকাতো লজ্জা পেয়ে
এক আকাশ ভালোবাসা জুড়ে ছিল যে পাখি
সে কেন ব্যাথাভারে চলে গেল ছিন্ন সাথী
রয়ে কি গেলনা তার কিছু, যাযাবর মন কেন উড়ে?


বদল কেন কি এমন পুরাতন
কি এমন রঙচটা কচি পল্লব?
বিধি কি দোষে এ বিধান
কি অপরাধে এই সমীকরণ
অবোধ অবুঝ আমি প্রশ্ন বারেবার।


যে তোমার চরণ ধরে
দ্বিধা কেন তার কেন
তারে যাচাই করো কষ্টি পাথরে
প্রভু দাও শক্তি শোক সহিবারে।