সময়ের শিকলে বন্দী এখন
বিদায় জমাটবদ্ধ প্রেমের কাফেলা
চোখের তারায় খসে কষ্টের শিলাবৃষ্টি।
হৃদয় বাগানে শুনি
আত্মার কান্নার শব্দ
চুপিচুপি কথা বলে অস্পষ্ট
মৃত্যুতে বড্ড তরুণ আমরা
অথচ ভালোবাসায় কাছে  ছিলাম প্রৌঢ়।

ভালোবাসার ঘর ছিলো
ছিল প্রেয়সী ছিল সন্তান
ছিলো আত্মীয় স্বজন
বন্ধু বান্ধব ছিল মিষ্টি অনেক সকাল।


জানো এখন হাতড়ে দেখি
কিন্তু কাউকে খুঁজে পাইনা
নাকে শুধু সোদা মাটির গন্ধ
পা দুটো নাড়াতে পারিনা
কিছু একটা  দিয়ে বাঁধা
দেহটাকে মনে হয় পলিথিনে মোড়ানো ।


অমার্জনীয় অপরাধের খাতাটা
দেখতে চাই একটু ।
কিছু কি ভুলের সীমানায়
রেখেছিলাম পা ----
আচরণে ছিলাম কি অসংযত।


জানো এখন --
দিশেহারা বিলাপরত ঠোঁট
চোখ নাকে অণুজীবের
একরোখা ভালোবাসায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ।
কোনভাবেই চোখের দেরাজটা খুলতে পারছিনা
জান চাবিটা কোথায় আছে !


উল্টে পড়েছে ফুসফুসের তারগুলো
আর হৃদপিণ্ড বলেছে
আমার আইসোলেশন
আমাকে পাম্প করতে মানা
চেয়ে দ্যাখো রক্তের কণিকাগুলোর
অবয়ব কেমন পাণ্ডর
যা করার সব করবে অক্সিজেন সিলিন্ডার
আর কোন কথা বল না  যাও ----


জানো ইচ্ছে থাকলেও
এখন আনন্দে পৌঁছাতে
বড্ড দেরি হয় !
বাতাস হয়ে ছুঁতে একটু দাওনা ছোঁব
আমার ভালোবাসার মুখ অমার পৃথিবী।
স্বপ্ন হয়েও আসতে দিও না হয়
আসবো আঁধারের পিছু পিছু
ভয় পেওনা হোক না অলীক
হোক না অবাস্তব খেলা।