চোখের জলের রজ্জু  কেটে
ভেঙে যায় অভেদ্য নীরবতা
বিলোল সুগন্ধধারা
ছড়ায় হিল্লোলে ফুল্লময়।


বসন্তের চিররঙিন প্রহর
মোহ আর্ত করে দেবতার
সুরাঙ্গনার সুষমাভরা ধরণীতট
কনকপ্রভায় চর্চিত কঙ্কণী কল্লোলে
প্রত্যুষের দীক্ষাময় শরীর মন
সংস্কারে অমরাবতীর গন্তব্যে যেতে চায় সদাই।


ধর্মীয় বিশ্বাসের সকল পথে
পূন্যলোভী জনতার চিন্তা চেতনা স্বর্গ অভিমুখে
মাজার মন্দির গীর্জায় অবসন্ন কথার ফোয়ারার
গড়ে তোলে অনলক্ষুধার প্রভাতফেরির মঞ্চ।


আকাশের দিগন্ত নীল নীলিমা ভাসে
আত্মারা বলাকার পাখায় ভর করে
বুক চাপা বন্দিশ্বাস রসায়নে
অধরা ঈশ্বর হাসে নিরবতায়।


জীবন্ত ঈশ্বর রেখে
অচেনায় অনন্ত আকুতি জগত সংসারে
নবতর অবিশ্রান্ত শিক্ষায় আঁধার লেপে
বিশ্বাস বিচার নাশে কাম তাপ ক্রোধ রোষে
আপন আপনারে তালাবদ্ধ  ভোগ সর্বস্ব বিধান রচে।


কোকিল যতই হোক কৃষ্ণ কালো
শ্রবণে ঢালে ততই অমৃত সুধারস
মধু অভিসারীর বিলোল আভাস
চিত্ত দগ্ধে ফুরায় প্রেম অভিলাষ।