বাঁচার আকুতি


কতলোক প্রতিদিন ভয়ঙ্কর আত্মহত্যা করে
নির্বিকার মন নিয়ে গর্বিণী ট্রেনের নীচে মাথা পেতে দেয়
অথবা সায়নামাইড মুখে দিয়ে ,পিস্তলে ট্রীগার চেপে
স্বার্থপর মানুষের মুখোমুখি হওয়া থেকে
দূরে চলে যায় ।
হতাশার বীজধান অঙ্কুরিত হয়ে আছে প্রাণে
অসংগত লজ্জার হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে
সহজ নয় ক্রমাগত এই ভাবে যুদ্ধে লেগে থাকা ।
তাই শেষে একদিন মেলে দেয় ডানা
অজানা রাত্রির দেশে মুহূর্ত্তে নিশানা ।


আমার ও অনেক বেদনার জ্বালা
অপমানে হয়ে গেছি সম্পূর্ণ হতাশ
শরীর অস্হির থাকে নানা রোগভোগ
অবহেলা ,বেকারিত্ব বিফল প্রয়াস ।
অথচ প্রত্যেকদিন নতুন প্রভাত এলে
ফের জেগে উঠি ।
তোমাকে দেখবো দূর থেকে শুধু এক পলক ,
তোমার হাঁটার ছন্দ নিয়ে কবিতা মেলাই ।
প্রাত্যহিক ভাললাগা পাখীর কূজন আর ফুলের সুবাস
তোমার অস্তিত্ত্ব ঘিরে বেঁচে থাকে
জাগায় নতুন করে বাঁচার আকুতি ।


1971