কে দেবে উত্তর


একদিন নরেণ ঘর, বন্ধু বান্ধব,প্রিয় আত্মীয়জন,
অসহায় দুঃখিনী মা সব ছেড়েছিল ;
ভিক্ষাপাত্র হাতে নিয়ে দেশ দেশান্তর ঘুরে
বিশ্ব জয়ের মুকুট নিয়ে একদিন ঘরে ফিরে আসে
প্রিয়তম শিষ্য শ্রীরামকৃষ্ণের ।
মঠ ও সংঘ গড়ে হাজার সন্নাসী নিয়ে ,
সমাজ দেশের স্বার্থে সমর্পিত তাঁদের জীবন ।


আশারাম ঘর ছেড়ে চলে যায় যখন নিতান্ত বালক
তারপর টাংঙ্গাওলা হয়ে সুরু জীবন সংগ্রাম ।
চাতুর্য্য, মেধা আর ভাগ্যের জোরে ভগবান ।
লক্ষ লক্ষ শিষ্য তাদের জীবন যন্ত্রনায়
ফুল পাতা পাদোদক ,রুমাল থেকে বেড়াল, আস্হা অর্জণ ;
আশ্রমের ডালপালা একর একর জুড়ে শহরের বুকে
স্কুল ,কলেজ, হাসপাতাল ,মন্দির টিভি চ্যানেল
গুরুর প্রাত্যহিক বানী ভক্তদের জীবনে দেয় প্রশান্তির আলো,
সংকট মোচনে দেয় আশা , ভালোবাসা,ও বাচাঁর প্রেরণা  ।


ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য লাগাম ছাড়া হলে
মানুষ একদিন পাগল হয়ে যায় তারপর শয়তান ।
সংসার সমুদ্রে অশান্তির ঢেউ তুলে বিদ্ধস্ত রমনীরা
সুখ,সম্পদ ও মান নির্ভয়ে তুলে দেয় দেবতার পায়ে ।
কাম মোহ নিত্য নতুন নারীর পেলব পরাগ
নষ্ট ফুলের মধু শেষ হলে কুড়িঁতে সোহাগ ।


হাজার রমনীর অতৃপ্ত সমুদ্রে করেছেন স্নান
মন্হন শেষে অমৃত বারী করেছেন পান
পৃথিবী হাতের মুঠোয় ;মন্ত্রী নেতা শান্ত্রীরা
করজোরে অপেক্ষায় ভিতরের ঘরে ,আশীর্বাদ চাই ।


সদ্য ফোটা ফুলের  কেশর নিয়ে পরীক্ষায় ভগবান
ভক্তের জীবন ধন্য হয়েছে, সেরে গেছে রোগশোক ।
পচা শামুকেই কাটলো পা গ্যাংরীণে ধরলো পচন ।


আশারাম ভগবান তাকেই শাস্তি দেবে সামান্য মানুষ ?
পরশুরামের সঙ্গে টক্কর, নিচ্ছে ন্যায়ালয় ।
বৈদিক যুগ হলে ভস্মই করে দিতেন সমস্ত সংসার ।


ক্যানসার বেধেঁছে বাসা সমস্ত রক্ত গেছে পচে
একজন অশীতিপর বৃদ্ধকে ধরে তাকে শাস্তি দিলে
গ্যাংরীণ ভালো হবে?কাটবে বিপদ ?
প্রশ্ন করতে হবে আজ সমস্ত মানুষকে ৷
ভক্তদের জ্ঞান চক্ষু কবে খুলবে ?কে দেবে উত্তর ?
-----------------------------