ইচ্ছের খোরাক দিতে,একটা প্রাণ হল
নিতে।
সামনে নিয়ে বন্দুকের নল,টিগারে
দিয়ে আঙ্গুলের বল,
করে দিলাম একটা গুলি,দ্বিখণ্ডিত হল
তার মাথার খুলি।
ছটফট করে মাটিকে আকরে ধরে,চলে
গেল সে তার আপন ঘরে।
পাশেই চিৎকারের শব্দ, আমি তো স্তব্ধ।
কে কে করে চিৎকার, আমায় কেন
দিচ্ছে ধিক্কার?
দেখি সে ঐ মৃত পাখিটার সাথী ।
আমার কি কিছুই না এতো সাধারণ
একটা পাখি।তাই চলে এলাম বাড়ি।
সকাল হল গেলাম মোর প্রিয়ার কাছে
কিন্তু পেলাম না। চলে এলাম বাড়ি।
ফোন দিলাম ধরে না, পরে আর ব্যাক ও
করে না।
এক দিন দুই দিন কেটে গেলে কত দিন।
মন মানে না তাই চলে গেলাম তার
বাড়ি।
বাড়ি পৌছানোর পর,
ভেঙ্গে গেল আমার আশার ঘর।
দেখি সেই পাখি আর আমার প্রিয়া,
আনন্দে মেতে আছে গল্প গুজব নিয়া।
যেতেই পাখিটির কাছে,
সে দেখি মিটমিটিয়ে হাসে।
বলে কেমন আছো ভাই,
তোমার মত স্বার্থপর আর একটাও দেখি
নাই।
করিতে নিজের মনকে তৃপ্ত,
বানালে আমার দু নয়ন জলে সিক্ত।
তাই তো প্রার্থনায় অর্জিত শক্তি
দিয়ে,
অনল জ্বালিয়েছি তোমার প্রিয়াকে
কেড়ে নিয়ে।
তোমারও হবে দুনয়ন অশ্রু সিক্ত আজ,
ও মানব অনুতপ্ত হও যদি থাকে লাজ।
পৃথিবীর নিয়মে চলতে হবে মনে থাকা
চাই,
যতটুকু দেবে ততটুকুই পাবে এড়ানোর
উপায় নাই।