একটা কোকিল পাখি আর একটা লাল গোলাপ ফুল।


ছোট্ট এক বাগানের পাশে বসে ভাবছি আমি একা,
কাল সকালে প্রিয়তমার সাথে আমার হবে প্রথম দেখা।
কি দিয়ে করবো তোমায় আমি বরণ,
সে লগ্নে হল আমার স্মরণ।
পাশেই আছে বড় গোলাপ ফুল,
ওটা দিয়েই বানিয়ে দেব তোমার কানের দুল।
কাছেই যেতে চোখে পড়ল একটা কোকিল পাখি,
অপূর্ব সুন্দর ছিল তার দুটো আঁখি।
নরম কোমল পালক দিয়ে ঢাকা ছিল তার গা,
লাল গোলাপের কাঁটার উপর ছিল তার দু পা।
পোকামাকড় ধরে মারছিল তার ঠোঁটে নিয়ে,
পাপড়িগুলো ধুচ্ছিল সে নয়নের জল দিয়ে।
কোকিল কন্ঠে গান গাইছিল হয়তো বা সুখে,
গোলাপটাকে দোলাচ্ছিল পাপড়ি রেখে বুকে।
মনের মাঝে লোভ  হল পাখির আদর দেখে,
পাখিটাকে নিতে হবে গোলাপটাকে রেখে।


তাই তো পাখিটাকে ধরতে গেলাম কিন্তু সে উড়ে গেল। কত চেষ্টা করলাম কত লোভ দেখালাম কত কাকুতিমিনতি করলাম, কত বার বললাম থাকবে অনেক যত্নে পাবে অনেক দামি খাবার।
কিন্তু সে শুনলো না।
তাই ছিড়তে গেলাম গোলাপ ফুলটাকে। তখন হঠাৎ করে পাখিটা উড়ে আসলো গোলাপের উপর। আমি তো অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম।
তার চোখে আমার চোখ পড়ল আমি তার চোখের ভাষায় অদ্ভুত এক আবেক দেখলাম, দেখলাম ওর চোখটা কি যেন বলচ্ছে।


তৎক্ষনে আমার টনক নড়লো।
আমি বুঝতে পারলাম তার চোখের ভাষা,
গোলাপটাকে বাঁচাবে সে বিলিন করে তার আশা।
লাল গোলাপটি ছিল তার দু নয়নের আলো,
নয়ন ছাড়া বাঁচাটা তার জন্য নয় এ ভূবনে  ভাল।
প্রাণ ছিল তার বুকে লাল গোলাপ ফুল,
স্বার্থপর হওয়ার মত করবে না সে ভুল।


আমি শিখলাম তার কাছে ভালবাসার মানে,
উপহার নয় ভালবাসো এটুকুই যেন সে জানে।