রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে দু'হাত বাড়িয়ে চিৎকার করে সমস্ত পৃথিবীকে অয়ন বলতে লাগল:


একা ছিলাম ভাল ছিলাম ছিলাম অনেক সুখে,
সতেজ শান্তির পরশ ছিল জমা এই বুকে।
একা মনে কোন ক্ষনে গেলাম নদীর ধারে,
নিঃস্বঙ্গ জীবন থেকে মুক্তি দিতে তারে।
নদীর মাঝে সকাল সাঁঝে উঠতো বালুর ঝড়,
মাঝে মাঝে গড়া ছিল ছোট বড় ঘড়।
গরুর  পাল ভেবে খাল পার হয়ে যেত,
বালুর মাঝে গজিয়ে উঠা কচি ঘাস খেত।
পায়ে হেটে মানব মানবী নদী পার হত,
নদীর মাঝে সৃষ্টি হত ছোট বড় ক্ষত।
ব্যাস্ত ছিল নদী বুক জ্বলতে ছিল দেহ,
বাক্যবিহীন নদীর কষ্ট বুঝতো না যে কেহ।
কষ্টের মাঝে আমায় পেয়ে বুকে দিল ঠাঁই,
বলে দিল আজ থেকে তুমি আমার ভাই।
আঁধার রাতে নদীর সাথে দিতাম বসে সঙ্গ,
তারার সাথে দুজন মিলে করতাম অনেক রঙ্গ।
কাটতে ছিল জীবন মোদের এই ভাবেই বেশ,
বর্ষার বানে হাসি আমার হয়ে গেল শেষ।
বর্ষার জল নদী পেল  বল পেল ফিরে তার সাথী,
জীবন তরে আবার জ্বললো একাকিত্বের বাতি।