এই সমাজে কেউ বুঝে না
যেই মেয়েটির দুখ,
যার মায়াবী মুখটি দেখে
বুক ফেটে যায় বুক!
সারাটা দিন যেই মেয়েটি
কাজ করে যায় কাজ,
দুঃখগুলো যার কপালে
ভাজ ফেলে দেয় ভাজ।
যেই মেয়েটির জীবনজুড়ে
নেই কোনো হইচই,
এত্ত কাজে কান্না-হাসির
সময়টুকু কই?
তবুও যে তার বুকটা করে
কেমন যে ধড়পড়,
কখন যে খায়, তার জানা নেই
কর্তামশাইর চড়!
কখন আবার গিন্নি এসে
বাধায় হুলুস্থূল,
দাঁত খিচিয়ে ছিঁড়বে টেনে
মাথার এলো চুল।
কোনো কাজে পান থেকে যেই
চুন খসেছে চুন,
সবাই যেনো গিলবে তাকে,
করবে এখন খুন!
সেই মেয়েটি এই সমাজে
কপালপোড়া খুব,
দুখসাগরে উথালপাথাল
ডুব দিয়ে যায় ডুব।
যখন দেখি কাজের মেয়ের
দুঃখভরা মুখ,
মনটা আমার কেমন করে,
বুক ফেটে যায় বুক!