যাচ্ছিলাম সেদিন ধীরেলয়ে মুক্তমনে
পরিচিত এক দম্পতির বাড়ির পানে,
গৃহের মুখে করতেই প্রবেশ
খটকা লাগে এই সরল মনে,
ঘরের দরজা যে প্রায় খোলা
তখন ছিল যে অনেকটাই অবেলা
ভাবিনি দেখতে হবে এই অস্বাভাবিক হেলা,
ঘরের মাঝের শুনশান নীরবতা
কাপিয়ে তোলে আমার হৃদয় খানি
গিয়ে দেখি হয়ে গেছে সব শেষ
মেরে দিল চারটি সতেজ দেহ
বানিয়ে দিল তাদের নিঃশব্দ মৃতের বেশ।
চমকে উঠলাম আমি চরমভাবে
ভাবলাম কি ফেসে গেলাম বাবা
দেখে এই বিভৎস দৃশ্য
শুরু হল যে আমার হাটু কাপা
দৌড়ে পালালাম সেখান থেকে
বিবেকের টানে ছুটে গেলাম
পার্শ্ববর্তী থানার দিকে,
অ্যাফায়ার লিখেও হলনা পুলিশ ক্ষান্ত
সাহায্য করব তথ্যের দ্বারা,
এই ক্ষুদ্র একটি শর্তে
জড়িয়ে গেলাম এই কেসে আমি।
শুরু হল যে আমার সত্য অভিযান
খবর নিলাম ভেতরে ভেতরে
সহমর্মিতা জানাতে চারটি মৃত প্রাণ
লড়াই চালালাম মাসের পরে মাস
খুজে পেতে সেই আসল খুনী
বাদ দিলাম না তদন্তের স্বার্থে
ধনী,গরীব,ছোকড়া,কিশোর,জ্ঞানী গুণী
অবশেষে একদিন মিলল ভাই
ওই অমানুষের খোজ
গা ঢাকা দিয়েছিল ছদ্মবেশে
ধোকা দিচ্ছিল যে রোজ
হাতের নাগালে যখন পেল তাকে
কেন্দ্রীয় পুলিশ অফিসার
এক ঘুষিতে ভেঙে দিল দাত
জেলে ঢুকালল সেই শনিবার
এমন মার মারলো তাকে
ভুলিয়ে দিল বাপের নাম
এমন শাস্তিতে জ্বালাল তাকে
পাবেনা আর কখনো সাহস,
করতে এই আকাম কুকাম।