পান্নাবালা!
হারিয়ে যাওয়া সেই দুপুর-বিকেলে কি
বৃষ্টি হয়েছিল?
যেমনটা এখন হচ্ছে!
আকাশ উচ্চকিত শব্দে কাঁদছে,
হ্যাঁ, কাঁদছে বলেই আমার
হৃদয়ে কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
তুমিও কি কেঁদেছিলে সেদিন?
এই মেঘের মত কান্না!
যতটা আমার চোখের বৃষ্টি গড়িয়েছিল
ঠিক ততটা কিংবা একটু বেশি!


পান্নাবালা!
তোমার স্তব্ধতা কি সেদিন
বৃষ্টি জলের ফোয়ারার মত হয়েছিল?
নাকি আমার ভ্রান্ত কল্পনার মত তুমিও
সেদিন বৃষ্টিতে পা ভিজিয়ে নৃত্য করেছিলে!
আমার চোখের প্রস্রবণে সৃষ্ট বৃষ্টিতে!
যেমনটা নৃত্য করে নদীর জলে বৃষ্টির প্রতিটা ফোটা
তুমি কি সেভাবেই
সেদিনের বৃষ্টি উপেক্ষা করেছিলে?
নাকি আজও বৃষ্টি এলে
আমার চোখের জল মনে নৃত্যে উদ্যত হও!


পান্নাবালা!
এ বৃষ্টি যদি একনাগাড়ে
বহুযুগ বর্ষে যায়।
তুমি কি তোমার পা সেখানে ভিজিয়ে রাখবে!
বৃষ্টি জলে!
নাকি নৃত্যের মুদ্রায় ছিটিয়ে দিবে দূরে
যেমনটা আমাকে দিয়েছো!


পান্নাবালা!
বৃষ্টি এলেই তোমার প্রেমে পড়ি নতুন করে
যেন তুমি বৃষ্টি শেষে
তোমার ছাদে জমে থাকা
বৃষ্টি জলে আবার নৃত্যে উদ্যত হতে পারো।


পান্নাবালা!
বৃষ্টি থেমে গেলো
তুমি কি নৃত্য করবে এ বৃষ্টি জলে?
যা আমার চোখের প্রস্রবণে সৃষ্ট বৃষ্টির অনুরূপ!


২২/০৪/২০২২ ইং
পান্থপথ, ঢাকা।