শেষ রাত্তিরে হুতোম প্যাঁচার ডাক আমার কাছে অশনি সংকেত মনে হয় না আর। কেননা, তুমি নেই। তুমি নেই—এই অসম্ভব কথাটি সত্য জানবার পর আর কোনো সংকেতই আমার কাছে অশুভ নয়। তুমি নেই—এই অসম্ভব কথাটি সত্য জানবার পর এই কঙ্কালসার দেহের ভেতরে আর কোনো প্রাণ অবশিষ্ট থাকে না। মঙ্গল-অমঙ্গলের ফারাক তাই আমার কাছে শূন্য। অতএব, তোমাকে ভুলে যাওয়া চাই। তোমাকে ভুলে যাওয়ার সমীকরণ মেলাতে মেলাতে আরও একশটি নির্ঘুম রাত গত হয়ে যায়। অসাড়তা আরো বেশি গ্রাস করে ফেলে আমাকে। শূন্য থেকে শূন্যতায় বিলীন হয়ে যাই আমি উন্মাদ। অতএব, আর ভাবনা নয়, আর আমি রাত জাগতে চাই না। আমার- সকাল-দুপুর-বিকেল; আমার সকল কাজের সময়, আমার তারুণ্য, আমার নবযৌবন— এসবকিছুকে নির্বোধ বিনষ্ট হতে দেয়া যায় না। তোমাকে ভুলে যেতে এবার আমি কবিতা লিখতে বসব। সাড়ে সাতশত প্রেমের পদ্য লিখা হয়ে গেলে তোমাকে ঠিক ভুলে যাওয়া যায়, তুমি তা জানো কি! তোমাকে ভুলে যাওয়ার এম্বিশান তবে তোমাতেই উৎসর্গ হোক প্রিয়তমা আমার।