শুনেছি মা, রূপসী বাংলায় নাকি দাবানল জ্বালিয়েছে পাক হায়নাদের প্রাণহর দল,
ওরা নাকি মানুষ মারে অবলীলাক্রমে! আমাকেও কি মারবে ওরা এসে সদলবল?
কি হয়েছে কথা বল না কেন মা? এই মা, ঐযে দেখো  মিলিটারির বিদঘুটে গাড়ি,
দাদুকে মেরেছে, দাদীকে মেরেছে, বাবাকে মেরেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে পাড়ার সকল বাড়ি।
ও মা, ওরা কি আমাকেও মারবে গো, চিনে কি ওরা? আমি তো এখনও ভাবী শিশু,
জানি না আমি মৃত্যু কি জিনিস, আশেপাশে হেরি মৃত্যুতটে শতশত একাত্তরের যিশু।
বারুদের গন্ধে কষ্ট হয় শ্বাস নিতে, মা তুমি শ্বাস নাও না আরেকটু জোরে জোরে,
তোমার পেটের শিশু ক্ষুধায় কাতর মা, প্রাণ বায়ুর স্বাদ না পেলে যাবে যে মরে।
তুমি না বলতে মা, একদিন স্বাধীন হবে এদেশ কিন্তু আজ চারিদিকে শুধু অসাড় লাশ!
দে-শটা স্বাধীন হলে হয়তো বিজয়ের লাল সবুজ পতাকা উড়ে বেড়াবে বারোমাস।
দে-খো মা, বিজয় আসবে, সেদিন হায়নাদের বুকে পিঠে পড়বে চরম জখম মার,
আমিও আজকে যুদ্ধ করব, জীবন দিয়ে হলেও
সম্ভ্রম রক্ষা করবো সোনার বাংলার।