টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে লাল সবুজের দৃশ্যপট,
মুজিব তোমার হয়নি পরাভব, দিনান্তে করি অনুভব, তোমার তর্জনীর দাপট।
টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে মুজিব ভাই; আজ বিশ্ববন্ধু তুমি হে জাতির পিতা,
তুমি আজ লাল সবুজের মানচিত্র, তুমি আঠারো কোটি মানুষের প্রিয় নেতা।
আঠারোটি গুলি সেদিন ব্যর্থ ছিল, তোমার নেই ক্ষয়, তুমি চিরঞ্জীব হে শেখ মুজিব।
দু'শ বছর পরে তোমার হাত ধরে তেইশ বছরের শোষণ থেকে হয়েছি মোরা সঞ্জীব।
নও শুধু তুমি সোনার বাংলার জনক, তুমি আজ বিশ্ব মানবতার কারিগর,
জন্মেছিলে এই বাংলায় তুমি, তুমি আজ নিপীড়িতের স্বাধীনতার জাদুঘর।
সেদিন কে জানতো টুঙ্গিপাড়ার সেই ছোট্ট ছেলেটি একদিন হবে পোয়েট অব পলিটিক্স,
কে জানতো অপ্রতিরোধ্য সেই ছেলেটিই হবে তারুণ্যের বাতিঘর, মুক্তিযুদ্ধের পরম এথিক্স৷
তাক করা বন্দুকের ভয় না করে, যে মানুষের কথা বলেছে প্রাণ ভরে, তাঁর কি মরণ হয়!
বাঙালি সন্তানদের হৃদয়ের কোয়ড্রেটে বাজে আজ 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর জয়।'
মনে আছে তোমার - সেই ছোট্ট তুমি, আর কান্নার নোনাজলে জর্জরিত ভীত দেশ,
মিশনারী স্কুলে পড়ার সময় সাহসী তুমিই জলদগম্ভীর কণ্ঠস্বরে দাবি নিয়ে এগিয়েছিলে শেষমেশ।
এক টুকরো দেশ, নদী মেঘলা, শুভ্র কাশফুল , সুন্দরবন, ছয়রূপ তার অপূর্ব চিত্রকলা,
দারুচিনি দ্বীপ, সোনালী ধান, স্বর্গীয় মেয়ের হাসিমুখ, গায়ে মোড়ানো নরম আঁচলা।
আজন্ম বিদ্রোহী সে দেশ, লুই পা'র চর্যাপদ থেকেই বিদ্রোহী মুখে পাথুরে জবাব তার।
মধুমতীর তীরে মানবের ভীড়ে বঙ্গবন্ধু রূপে একদিন ভেসে আসে স্বাধীনতার উপহার।
আদরের চাঁদরে ঢেকে বাবা-মা তাকে 'ও খোকা, ও খোকা' বলে ডাকতো।
সেই ছেলেটি আকাশ পানে চেয়ে একটি স্বাধীন মানচিত্রের ছবি আঁকতো।
সেই মানচিত্রের আলেখ্য এঁকেছে সে আঠারো মিনিটে, সাতই মার্চে ত্রিশ লক্ষ জনতার ভিড়ে।
ছয় দফার সেই নেতা বিশ্ববন্ধু আজ; এসেছিল পোয়েট অব পলিটিক্স হয়ে ধরায় ফিরে।
তাঁর বিচরণ আজ 'ভুলোক দুলোক গোলোক ভেদিয়া' ঝলমল মহাবিশ্বের আলোর তরে,
মুজিব তোমার হয়নি ক্ষয়, বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু হয়ে তোমার জয়গান আজ ঘরে ঘরে।
হে জাতির পিতা, সোনার বাংলার লাগি নির্ভয়ে তুমি বিলিয়ে দিয়েছো প্রাণ।
বাঙালি কভু ভুলবে না তোমায়, যুগে যুগে লাল সবুজের বুকে তুমি অমর অনির্বাণ।