দাদুর মুখে শুনেছিলাম রুপ কথার কত গল্প,
বলতাম অবাস্তব কিছু বলো না দাদু !
আমাকে শুনাও কিছু জীবনের কথা,
দাদু বলতেন,
আমরা তাড়িয়েছি ইংরেজ বেনিয়া আর মারাঠা,
না! হলো না! বলো বীর দর্পের স্বাধীনতার কথা
হ্যাঁরে দাদু !
জুলুম শোষণের বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধ
ধুমকেতুর লাভা গর্জে উঠেছিল সকলেরই মনে।
সেদিন শুনেছিলাম স্বাধীনতার কথা।
হলাম কিশোর,
অর্থ খুজে ফিরি সেই স্বাধীনতার,
ভাবলাম স্বাধীনতা মানে মুক্ত-বিহঙ্গ ঈগল পাখি,
আর মেঠো রাখালের দিবা-নিশি গান গাওয়া।
থাকবেনা দুখ, হাসবে মুখ যা চাই তাই পাওয়া
যৌবনে এসে খুজি শুধু ইতিহাস।
দেখি জীবনকে বাজি রাখা পুরুষ কারারুদ্ধ
বাসন্তি  জাল পেচিয়ে লজ্জা ঢেকে হয়ে থাকে বাকরুদ্ধ
মানুষ আর কুকুর শক্তির পরীক্ষা দেয় এক মুঠো ভাতের জন্য।
প্রশ্ন করি,
স্বাধীনতা ? আসলে তোমার অর্থ কি ?
নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকে স্বাধীনতা!
শীর্ণ কুটিরের ঐ বস্তির দিকে
যেখানে নেই বেঁচে থাকার এতটুকু উপকরণ,
পায়না সেখানে সুখি-সমৃদ্ধ স্বাধীনতার কথা।
তাহলে কি মিথ্যা ?
হাজারো লাশের রক্তের স্রোতধারা
আমার বোনের ইজ্জত নিয়ে খেলেনি ? শকুনেরা!
হ্যাঁ! আমি বুঝেছি,
স্বাধীনতা তুমি বড় অসহায়
চোখের দু-পাশ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে।
বলি কেঁদোনা! কেঁদোনা  স্বাধীনতা।
কোটি সন্তান রয়েছে তোমার
সালাম জানাবে পায়,
বৃথা যাবেনা শপথ নিয়েছি উৎখাত করিব কীট,
পিছু রবো না সামনে আগাব দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ।