পৃথিবীটা নিশ্চুপ, রাতটা নিঝুম সারা দেহে শিহরণ,
চোখকে বলি ঘুমো বাবা রাত জাগিসনে অকারণ।
শোনেনা বারন টেনে তোলে কানে বাজে মায়ের ডাক,
স্নেহের পরশে সিক্ত করে ঘুরে দেয় জীবনের বাঁক।
যেদিকে তাকাই অক্ষি পটে ভাসে নির্মল মুখ খানি,
কত জনই হতে চাহিল আপন, হইল সকলে শণি।
তোমার শুন্যতা পূরণ করিতে কত শুনাল মধুর কথা,
কেউ খোঁজ রাখেনা যখন ভুল করে দেই ব্যথা।
ভালবেসেছিলাম যাদের আমি খবর নেয়না আর,
নিষেধ হয়েছে,
লাভ নেই মিশে, ছন্ন ছাড়া জীবন রয়েছে যার।
ক্লান্ত হয়েছি মলিন দেহে কেহ দেয়না চুম,
সাত রাজার ঐ রাজ্য জয়ের গল্পে আসেনা ঘুম।
সকলেরই মান বজায় রেখে আমাকে দিয়েছে ঠেলে,
মাগো! তখনই তুমি ঠাঁই দিয়েছ, ধরেছ নিজেকে মেলে।
আজি মনে পড়ে দিবা-নিশি কত বকুনি দিয়েছি তোমায়,
ভাতের থালা ফেলেছি ছুড়ে কত চুল ছিরেছি হায়।
বাড়ী হতে বেরিয়ে পড়েছি চোখ যে দিকে যায়,
পিছু ছাড়োনি, বলেছ খেয়ে যা শক্তি পাবিনা গায়।
পথে পথে ঘুরে নিরাশ হয়ে ফিরেছি সন্ধ্যা বেলা,
এক মুঠো ভাত খাওনি তখনও পেটে সয়েছ জালা।
শিয়রে দাড়িয়ে প্রহর গুনেছ ঘুম ভাঙলেই খাবে।
খোকা আমার রাগ করিলে বেঁচে থেকে কি হবে ?
মাগো! মনে পড়ে জল বসন্ত সেই রাতের কথা,
ডাক্তারের বারণ, ছোয়াচে রোগ ঘুঁচানো যাবেনা ব্যথা।
কিচ্ছু মাননি সারা রাত জেগে নেড়ে দিয়েছ চুল,
বলেছ। বাবা!
ভাল হবে তুমি, অনেক বড় হয়ে রাখিবে মোদের কুল।
মাগো! আর ভাবতে পারছিনা চোখ বেয়ে জল পরে,
দায়িত্ব পালন করিনি তোমার, তবুও খুঁজে ফের মোরে।
জানি। স্রষ্ঠার সেরা সৃষ্টি তুমি সব উর্ধে¦ তোমার মান,
এমন মা বেঁচে আছে যার, তারাই সৌভাগ্যবান।