হে পথিক! একলা চলেছ কোন অজানার পথে,
হঠাৎ থমকে দাঁড়াও ! ভেবে দেখো জীবন রথে।
তুমি কি দেখোনা ? ভোরের শিশিরে চাপা পরা মুসাফির,
পথের ধারে ছামিয়ানা টেনে কেহবা গড়েছে নীড়।
হাতুড়ির আঘাতে চূর্ণ হয়ে লোহিত হয়েছে ইট,
তবুও জোটেনি এক মুঠো ভাত, বক্র হয়েছে পিঠ।
তুমি কি দেখ না? একটি ছেলে কী কুড়িয়ে খায়
হাড় কাঁপানো শীত থেকে বাঁচিতে সাঁজাল দিয়েছে পায়,
স্রোতের বিপরীত নৌকা টানিতে রক্তে ভিজেছে হাত,
কি ভাবে কাটিবে জীবন নামের মধু চন্দ্রিমার রাত ?
রাজ পথের ঐ পথিক দাড়িয়ে একটু আশীষ চায়।
পীচ ঢালা পথ রক্ত মেখে জীবন করেছে জয়।
হে পথিক ! তুমি কি শোন না ?
শত বনি আদমের কান্না
সুখের লাগিয়া কত পথ মাড়িয়ে
সব খানে দিয়েছে ধর্ণা।
কোথাও পায়নি এতটুকু সুখ,
সকলে দিয়েছে ব্যথা ভরা দুখ।
তুমিকি পারনা! সে দুখ ঘুচাতে,
দুখি মানুষের কান্না থামাতে
সব খানে মিশে, বাড়িয়ে দিতে হাত
তবেই পাবে সঠিক ঠিকানা সুমহান জান্নাত।