মন পোড়া, বিষন্ন! একা হাটি, দেখি পদ্মার জল ,
করে ঝিকি-মিকি, মুক্তার মত দেখায় ছল ছল।
কি যাদু তাহার তৃষ্ণা মিটায়, কি নির্মল বহমান,
উড়তে গিয়ে ক্লান্ত পাখি হেথায় করেছে কলতান।
আহ! কি সুখ! কি শান্তি! বলি নদী আমারে করবেসঙ্গী?
আমিতো নই উৎস ইহার, স্নান করে এমন করেছে, সে রুপসী এখন বন্দী,
শুধাই তাহারে, দগ্ধ হৃদয়, হাজারও ক্ষত, সেকি সাড়াবে
বলে হাটো সম্মুখে, পাইলে তাহারে হৃদয় মালা পরাবে।
সাহস নিয়ে আগাই একাকী, গায়ে লাগে বিকেলেরদোল
শিহরিত হই, প্রফুল্ল চিত্ত, মনে হয় এ যেন তাহারই কোল।
জিগাই তাহারে, ঠাই দিবে মোরে প্রশান্তির কটি বন্ধে,
বলে সমীরণ, নহে উৎস আমি, যেটুকু হয়েছে তাহার রুপের গন্ধে।
এমন গন্ধ কোথায় পাব, বিষন্ন মন, ফেটে চৌচির বুক,
ক্লান্ত এখন, পাইবো কি তারে? দিবে কি সে মোরে সুখ।
সে সব ছাড়ি, কতটি বছর এসেছিলাম হেথায়,
হাজারও মানুষের ভিরের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ রয়।
টুক-টুকে লাল পাপড়ী তাহার এ কপালে কি সইবে?
নাকি! লাকড়ি কপাল তোমার বিহনে তুষের আগুনে জ্বলবে।